ওই মার্কিন সেনা হাসতে হাসতেই উত্তর কোরিয়ায় ঢুকেছেন

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অসামরিক অঞ্চল
ছবি: রয়টার্স

দুই কোরিয়ার সীমানা বিভাজনকারী রেখা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সেনা যখন উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তখন তিনি ‘উচ্চ শব্দে হাসছিলেন’ বলে জানিয়েছেন ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ায় ঢুকেছেন মার্কিন এক সেনা। এ ঘটনা তুমুল হইচই ফেলেছে।ধারণা করা হচ্ছে, ওই মার্কিন সেনাকে আটক করেছে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল দুই কোরিয়াকে বিভাজনকারী ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা হঠাৎ সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়া অংশে ঢোকেন।

ওই পরিদর্শক দলে ছিলেন এমন একজন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস–কে বলেন, সেখানে যাওয়ার পর তাঁরা আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা শুরু করেছেন। এমন সময় এক ব্যক্তিকে হো হো করে হাসতে হাসতে কয়েকটি ভবনের মাঝ খান দিয়ে দৌড়ে চলে যেতে দেখেন।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘শুরুতে আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো তিনি (মার্কিন সেনা) সবার সঙ্গে কৌতুক করার উদ্দেশে করেছেন। কিন্ত যখন তিনি আর ফিরে এলেন না তখন বুঝতে পারলাম ওই ব্যক্তি মজার ছলে এ কাজ করেননি। এরপরে সবাই বিষয়টি বুঝতে পারলে পরিস্থিতি বদলে যায়।’

সীমানা পেরিয়ে যাওয়া ওই মার্কিন সেনার সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলন করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। সেখানে লয়েড অস্টিন বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই জানি না। জানার চেষ্টা চলছে।’

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি সে এখন উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে আছে। আমরা গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে ঘটনা কী ঘটেছিল।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আইজ্যাক টেইলর বলেন, ঘটনাটি কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জ্যাঁ পিয়েরে বলেছেন, ওই মার্কিন সেনা সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ। তিনি বলেন,‘আমরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। বড় উদ্বেগ ওই সেনা নিরাপদ আছেন কিনা।’

তবে সীমান্ত টপকে যাওয়া মার্কিন সেনা সম্পর্কে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি। জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়া মিশনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।