শুরু হচ্ছে হান্টার বাইডেনের বিচার, যা হতে পারে ট্রাম্প শিবিরের হাতিয়ার

জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনফাইল ছবি

বন্দুক কেনা–সংক্রান্ত মামলায় আজ সোমবার বিচার শুরু হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের। এই বিচার তাঁর বাবার জন্য যেমন বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে, তেমনি এটাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে রিপাবলিকানরা। কারণ, গত সপ্তাহে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয় থেকে মনোযোগ সরাতে চায় দলটি।

হান্টার বাইডেনের এ মামলার বিচার হবে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের আদালতে। সেখানকার সরকারি কৌঁসুলিদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময় নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে তাঁর কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু এমনটা হবে না বলেই ধারণা আইনজ্ঞদের।

মাদকাসক্তি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হান্টার বাইডেনকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে ভুগতেও হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে কোকেন আসক্তির কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, কোকেন আসক্তির কারণে ভুগতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু হান্টার বাইডেনের আইনজীবীরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের দাবি, হান্টার বাইডেন অস্ত্র কেনার সময় কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি।

২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তাঁর আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন। কিন্তু সরকারি কৌঁসুলিরা তাঁর আত্মজীবনীকে ব্যবহার করে মামলা লড়তে চাচ্ছেন। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, অস্ত্র কেনার সময় মাদকাসক্ত থাকলেও এ নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে তিনি মাদকে আসক্ত কি না।

মামলায় হান্টারের যাতে বিচার না করা হয়, এ জন্য বিচার–পূর্ববর্তী একটি চুক্তি হয়েছিল। গত বছর সেই চুক্তি ভেস্তে যায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিচার শুরু হওয়ায় চুক্তির কিছু শর্ত কার্যকর হতে পারে। কিন্তু একটা বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত যে হান্টার বাইডেনের বিচারের মুখোমুখি হওয়ার এ ঘটনাকে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে বিরোধী রিপাবলিকান শিবির।