তাঁর সংগ্রহে ৭০ হাজার পেনসিল 

শৌখিন পেনসিল সংগ্রাহক অ্যারন বার্থলমি
ছবি: বার্থলমির টুইটার থেকে

দেশলাই, ডাকটিকিট থেকে শুরু করে গাড়ি—কত কিছুই না মানুষ শখের বশে সংগ্রহ করে থাকেন। তেমনই এক শৌখিন সংগ্রাহকের সন্ধান পাওয়া গেল যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৬৯ হাজার ২৫৫টি আলাদা ধরনের পেনসিল! অর্থাৎ এর কোনোটির সঙ্গে কোনোটির মিল নেই।

সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য ওই পেনসিলগুলো গণনা করা হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অপেক্ষা। তবে এ জন্য সময় লাগতে পারে তিন মাস।

এই পেনসিল সংগ্রাহকের নাম অ্যারন বার্থলমি। বয়স ৩৬ বছর। বাড়ি আইওয়া অঙ্গরাজ্যের কোফ্যাক্স শহরে। তাঁর সংগ্রহগুলো সেখানকার জাদুঘর ‘কোফ্যাক্স হিস্টরিক্যাল সোসাইটি মিউজিয়ামে’ রাখা আছে। সম্প্রতি গিনেস রেকর্ডসের নিয়ম মেনে সেখানেই পেনসিলগুলো গণনা করা হয়েছে।

অ্যারন বার্থলমি বলেন, তাঁর পেনসিল সংগ্রহ শুরু প্রাক্-প্রাথমিকে পড়ার সময় থেকে। তখন তাঁকে একজন শিক্ষক একটি বর্ণিল পেনসিল উপহার দিয়েছিলেন, যা তাঁকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে।

বার্থলমি বলেন, তাঁর সংগ্রহে থাকা স্মারক পেনসিলের মধ্যে শত বছরের পুরোনো পেনসিলও রয়েছে। তিনি একই ধরনের পেনসিল দ্বিতীয়টি সংগ্রহে রাখেন না। বিভিন্ন অ্যান্টিক জিনিসের সংগ্রহশালা ও দোকান ঘুরে তিনি এসব সংগ্রহ করেছেন।

বার্থলমির সংগ্রহে থাকা পেনসিলের মধ্যে যেমন লেখালেখি করার পেনসিল রয়েছে, তেমনই রয়েছে ‘অধুনালুপ্ত’ টেলিফোন ডায়াল করার পেনসিলও। এ ছাড়া খেলাধুলার সূচি ও বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহৃত পেনসিলও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

বার্থলমির পরিশ্রম সফল হলে তিনি এমিলিও অ্যারিনাসের রেকর্ড ভাঙবেন। এমিলিও ২০২০ সালের মে মাসে ২৪ হাজার ২৬টি আলাদা পেনসিল সংগ্রহে রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করেছিলেন।

ওয়াশিংটন পোস্টকে এক প্রতিক্রিয়ায় বার্থলমি বলেন, ‘আমি সব সময় এমন সব গল্প উপভোগ করেছি, যা পেনসিল বলতে পারে।’