পুতিনে আস্থার কথা শোনালেন ট্রাম্প, ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান স্টারমার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসেছবি: এপি

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নিজের আস্থার কথা শুনিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জোর দিয়েছেন ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ওপর।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এমন কথাই জানান ঐতিহাসিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই দুই নেতা। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে স্টারমার এখন ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন।

ওভাল অফিসের বৈঠকে রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাজ্য সফর করতে ট্রাম্পের হাতে একটি রাজকীয় আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন স্টারমার। ট্রাম্পও ব্রিটিশ রাজার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

এ সময় ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি আর প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি, তিনি (পুতিন) প্রতিশ্রুতি রাখবেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দীর্ঘদিন ধরেই আমি তাঁকে চিনি। আমি বিশ্বাস করি না যে তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন।’

কিয়ার স্টারমার বৈঠকের আগেই বলেছিলেন, ‘যদি কোনো রক্ষাকবচ ছাড়া যুদ্ধবিরতি হয়, তবে তিনি (পুতিন) সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন এবং আবার ফিরে আসবেন।’

মার্কিন মিত্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স চাইছে, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হোক। আর এ বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিক ওয়াশিংটন। বৈঠকে স্টারমার বিষয়টি ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরেছেন।

ইউক্রেনে শান্তি চুক্তির বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায়ের কথাও ট্রাম্পকে জানান স্টারমার। তিনি বলেন, এটা এমন একটি চুক্তি হতে হবে, যেটা কেউই লঙ্ঘন করবে না।

আরও পড়ুন

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচার’ বলে মন্তব্যের বিষয়ে নমনীয় হয়েছেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আমি এটা বলেছিলাম?’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর স্টারমার গত বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে পৌঁছান। এমন এক সময় তিনি দেশটিতে গেলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমিয়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।