চাঁদে নভোচারী পাঠাতে মহাকাশযান তৈরির জন্য তিন কোম্পানির সঙ্গে নাসার চুক্তি

নাসা যে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে, তার একটি ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভেঞ্চুরি অ্যাস্ট্রোল্যাবএএফপি ফাইল ছবি

পাঁচ দশকের বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো চাঁদে মানুষ পাঠাতে মহাকাশযান (লুনার টেরেন ভিয়েকল) তৈরির জন্য তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। গতকাল বুধবার নাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই তিন কোম্পানির সঙ্গে ৪৬০ কোটি ডলার মূল্যের চুক্তি করেছে তারা।

এই তিন কোম্পানি হলো—টেক্সাসভিত্তিক ইনশুইটিভ মেশিনস, কলোরাডোভিত্তিক লুনার আউটপোস্ট এবং ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভেঞ্চুরি অ্যাস্ট্রোল্যাব।

কোম্পানিগুলোকে লুনার রোভারের নকশা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০২৯ সালে চাঁদে নভোচারী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর্টেমিস ৫ নামের ওই অভিযানের আগে মহাকাশযানের পরীক্ষা চালানো হবে। তিনটি কোম্পানি থেকে যেকোনো একটির নকশা বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে নাসা।

হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের পরিচালক ভানেসা উইচে এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আর্টেমিস প্রজন্মের চন্দ্রযান তৈরির চেষ্টা করছি, যেন চাঁদ সম্পর্কে আমাদের জানার পরিসর বাড়াতে এগুলো সহায়ক হতে পারে।’

তাঁর আশা, এই যান চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের অনুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম চালানোর সক্ষমতা অনেক বাড়াবে।

নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট মিশন ডিরেক্টরেটের প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী জ্যাকব ব্লিচার বলেন, ‘মহাকাশচারীরা যেসব জায়গায় পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন না, সেখানে এ মহাকাশযান নিয়ে যাবে। এতে আমাদের আবিষ্কারের সক্ষমতা বাড়ছে এবং আমরা নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে সক্ষম হচ্ছি।’

এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে দ্য আর্টেমিস মিশন। আশা করা হচ্ছে, এ অভিযানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো অ্যাপোলো ১৭ যানে করে চাঁদে নভোচারী পাঠিয়েছিল দেশটি।

এ কর্মসূচির আওতায় প্রথমবারের মতো চাঁদে দীর্ঘ মেয়াদে নভোচারীর অবস্থানের পরিকল্পনা করছে নাসা।