জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্পের ৩৭ কোটি ডলার জরিমানা হতে পারে

ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: রয়টার্স

জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় হচ্ছে আজ শুক্রবার। এর ওপর নির্ভর করবে ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা।

সাবেক প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে নিজের এবং তাঁর দুই ছেলের নামে থাকা সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে যে দেখিয়েছেন, সে বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

জালিয়াতির অভিযোগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই দেওয়ানি মামলা হয়। রায় ট্রাম্পের বিপক্ষে গেলে তাঁকে ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে।

বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে ট্রাম্পকে জরিমানা করার পাশাপাশি এই অঙ্গরাজ্যে যাতে তিনি ব্যবসা করতে না পারেন, সেই আরজিও জানিয়েছেন।

আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত বড় ধনকুবেরই হোন না কেন, এটি তাঁর জন্য একটি বড় অঙ্ক। চূড়ান্ত রায়ে এমনটা হলে এটি ট্রাম্পের আবাসন ব্যবসার সাম্রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, এমনকি ট্রাম্পের অর্থবিত্তে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।

সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর দিয়ানা ফ্লোরেন্স বলেন, তিনি হঠাৎ করেই শ্রমিক হয়ে যাবেন না। তবে এটা বিপুল নগদ অর্থের বিষয়। এতে তাঁর ভবিষ্যৎ উল্লেখযোগ্যভাবে টালমাটাল হবে।

নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস বলেন, ‘আমাদের কাছে পাহাড়সম প্রমাণ আছে, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে যে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা ঋণ ও বিমার সুবিধা পেতে কীভাবে তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ এবং সেই সম্পদের প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।’

লেটিটিয়া জেমস আদালতকে বলেন, ৩৭ কোটি ডলার উপযুক্ত জরিমানা, যা তিনি দিতে বাধ্য। এর মধ্যে জালিয়াতি করে যে পরিমাণ অর্থ আদায় করেছেন, তা-ও রয়েছে।

তবে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। কারণ, ব্যাংকগুলো তাঁর বিনিয়োগ দিয়ে অর্থ আয় করেছে। তিনি আপিল করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে উচ্চ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত এই রায় স্থগিত থাকবে।

আর আপিল চলাকালে ট্রাম্প জরিমানা বা ব্যক্তিগত সম্পদ জব্দ এড়াতে চাইলে তাঁকে ৩০ দিনের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।