শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল যুক্তরাষ্ট্র: পেন্টাগন

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে রেথিয়ন করপোরেশনের কার্যালয়
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে রেথিয়ন টেকনোলজিস করপোরেশনের তৈরি এয়ার ব্রিদিং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর গতি শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এয়ার ব্রিদিং ক্ষেপণাস্ত্র বা যানগুলো বায়ুমণ্ডল থেকে বাতাস সংগ্রহ করে। সে বাতাস ইঞ্জিনে থাকা জ্বালানির সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রবল গতি তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রে এয়ার ব্রিদিং উয়িপন কনসেপ্টের (এইচএডব্লিউসি) উন্নয়নসংক্রান্ত কর্মসূচি পরিচালনা করছে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডিএআরপি)। এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহের চুক্তি পেতে রেথিয়ন ও লকহিড মার্টিন করপোরেশনের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে।

রেথিয়নের ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক ব্যবসায়িক শাখার প্রেসিডেন্ট ওয়েস ক্রেমের বলেন, ‘আমাদের দেশের হাইপারসনিক সক্ষমতাকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি জাতীয় অপরিহার্যতার বিষয়। সে কাজে আরেক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। একের পর এক সফল পরীক্ষা আমাদের এইচএডব্লিউসি প্রযুক্তিতে পরিপক্বতা অর্জনের জন্য ব্যাপক আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’

পেন্টাগন বলছে, গতকালের এয়ার ব্রিদিং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের যে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা ২০১৩ সালের পর এ ধরনের অস্ত্রের তৃতীয় সফল পরীক্ষা।

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত চারটি এয়ার ব্রিদিং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে। রেথিয়নের তৈরি অস্ত্রের পরীক্ষা দুবারই সফল হয়েছে। তবে লকহিডের একটি পরীক্ষা সফল আর একটি পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করছে। এটিকে পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র বলে বিবেচনা করা হয়।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণেরও বেশি শক্তি নিয়ে উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উড়তে পারে। তখন এর গতি থাকে ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার।