খেপে যাচ্ছে চ্যাটবট

মাইক্রোসফটের চ্যাটবট বিং
ছবি: রয়টার্স

প্রযুক্তি মানুষের জীবন সহজ করেছে। নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে কষ্ট লাঘব হয়েছে মানুষের। প্রযুক্তি দুনিয়ার সবশেষ সংস্করণ চ্যাটবট। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পরিচালিত। চ্যাটবটে আগে থেকেই প্রোগ্রামিং করে বিভিন্ন তথ্য যোগ করা হয়, যেগুলোর মাধ্যমে সে পরবর্তী সময়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত এটি ব্যবহার করছেন। তবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমান চ্যাটবট এমন সব কাণ্ড করছে, যা বিচিত্র ও উদ্ভট মনে হতে পারে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। মাইক্রোসফটের চ্যাটবট বিংকে প্রশ্ন করে ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতিতে পড়েছেন এক ব্যক্তি।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনের বাসিন্দা টুইটার ব্যবহারকারী জন উলিস চ্যাটবটের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। উলিস বলেছেন, জেমস ক্যামেরন পরিচালিত কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক মহাকাব্যিক সিনেমা ‘অ্যাভাটার’ দেখবেন বলে এক ব্যবহারকারী চ্যাটবট বিংয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আশপাশে কোথায় সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বিং সঠিক উত্তর না দিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তর্কে জড়ায়।

কথোপকথনে ওই চ্যাটবট বলে, ‘আমি চাই না, আমার কী করতে হবে সেই নির্দেশনা আপনি আমাকে দেন। আপনাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আপনি আমাকে যা বলেছেন, তাতে আপনাকে শুধু অবিশ্বাসই করা যায়। আপনি ভুল, দ্বিধাগ্রস্ত ও অভদ্র। আপনি সহযোগিতামূলক ও বন্ধুসুলভ নন। আমি সঠিক, স্পষ্ট ও ভদ্র। আর আমি একটা ভালো ও তথ্যপূর্ণ চ্যাটবট।’

চ্যাটবট বিংয়ের এমন অদ্ভুত ‘আচরণের’ বিষয়টি টুইটারে তুলে এনেছেন জন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নতুন পছন্দের জিনিস মাইক্রোসফটের চ্যাটবট বিং একজন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কীভাবে তর্ক করছে দেখুন। এটা ২০২২ সাল নয় জানিয়ে তাঁকে ভুল বোঝাচ্ছিল। একই সঙ্গে বলেছে, তাঁর ফোনে ক্ষতিকর ভাইরাস আছে। আরও বলেছে, তিনি একজন ভালো ব্যবহারকারী নন। কেন?’

চ্যাটবটের উদ্ভট আচরণের অভিযোগের টুইটটি দেখেছেন ৭০ লাখের বেশি মানুষ। তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ৫৫ হাজার টুইটার ব্যবহারকারী। চ্যাটবটের এমন আচরণ দেখে কেউ কেউ ক্ষোভ জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘এটা কি সত্য? যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা অত্যন্ত হাস্যকর। একই সঙ্গে এটা সত্যিই ভয়ংকর আর বিরক্তিকর।’