রমজানের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আশা বাইডেনের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে বলে আশা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলার মধ্যে এমন আশাবাদ জানালেন বাইডেন।

আর কয়েক দিন পরই রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের তীব্রতা কমাতে সহযোগিতা করার জন্য বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে তিনি আশাবাদী কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তেমনটাই আশা করছি। আমরা এখনো জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, রমজান মাসের শুরু থেকে সব সামরিক কার্যক্রম ৪০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এ আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের কাছ থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানতে পেরেছে।

প্রস্তাবে প্রতি ১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে ১ জন করে ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া–সংক্রান্ত চুক্তির কথাও বলা হয়েছে।

সম্প্রতি গাজায় ত্রাণ সংগ্রহের জন্য জড়ো হওয়া শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।

গাজা উপত্যকার শাসনক্ষমতায় থাকা হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলছে, তাদের সেনারা সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ার পর বেশির ভাগ মানুষই হুড়োহুড়ি করার সময় পদপিষ্ট হয়েছে।

ওই ঘটনার পর গাজা উপত্যকায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, ‘নিরীহ মানুষেরা ভয়াবহ যুদ্ধের কবলে আছে, তারা তাদের পরিবারকে খাওয়াতে পারছে না। আর তারা যখন ত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন কী পরিস্থিতি হচ্ছে, তা আপনারা দেখেছেন। তবে আমাদের আরও বেশি কিছু করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি পদক্ষেপ নেবে।’

আরও পড়ুন

জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, গাজা উপত্যকার প্রায় এক–চতুর্থাংশ মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে। উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনা করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। তারা বলছে, এটি ব্যয়বহুল ও অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ।