যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান ৫ গণমাধ্যমের

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর শীর্ষ স্থানীয় পাঁচটি গণমাধ্যম। গতকাল সোমবার এক খোলাচিঠিতে ওই আহ্বান জানানো হয়।

২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্যে বন্দী আছেন। তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ জন্য অ্যাসাঞ্জকে ওয়াশিংটনের হাতে প্রত্যর্পণ করতে যুক্তরাজ্যের কাছে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমসসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রকাশকেরা ওই খোলাচিঠিতে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশ কোনো অপরাধ নয়। গোপন তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে চলমান বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে আমরা একত্রিত হয়েছি।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, যখন বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন মার্কিন প্রশাসন অ্যাসাঞ্জকে অভিযুক্ত করা থেকে বিরত ছিল। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নীতিতে পরিবর্তন আসে। তখন অ্যাসাঞ্জকে ১৯১৭ সালের গুপ্তচরবৃত্তি আইনে অভিযুক্ত করে দেশটির বিচার বিভাগ। এর আগে কোনো সংবাদ প্রকাশকের বিরুদ্ধে এ আইন ব্যবহার করা হয়নি।

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গণমাধ্যমগুলোর খোলাচিঠিতে। বলা হয়েছে, এটা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য একটি হুমকি। গোপন নথি প্রকাশের ১২ বছর পর, এখন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করার সময় এসেছে।