পুতিনকে নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্পের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার আবারও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুই দিনের মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় বৈঠক। তাঁদের এসব বৈঠকের মূলে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। আগের দিন মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনের ফাঁকে লাভরভের সঙ্গে ৫০ মিনিট বৈঠক হয় রুবিওর।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন। কিন্তু চার মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আগের মতোই দূরের বিষয় বলে মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের ওপর ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার দিক থেকে আরও নমনীয়তা না দেখানোয় ট্রাম্প ‘হতাশ ও বিরক্ত’।

তাহলে কি যুদ্ধের ব্যাপারে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে আর এ নিয়ে তাঁর পরবর্তী বিকল্পগুলোই বা কী?

রাশিয়ার বিষয়ে কি ট্রাম্পের অবস্থান বদলেছে

এমন সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এসব কথা বললেন, যখন প্রকাশ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে ইউক্রেন শান্তি চায় না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন আমাদের উদ্দেশে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। তিনি সব সময় খুব ভালো ব্যবহার করেন, কিন্তু দেখা যায় শেষ পর্যন্ত সেগুলো অর্থহীন।’

গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার প্রথম মাসগুলোর পর সর্বশেষ মে মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার আয়োজন করে ওয়াশিংটন।

কিন্তু পুতিন সাময়িক অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দিলেও ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। ইউক্রেন অবশ্য এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। রাশিয়ার যুক্তি, ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে সেনাদের নতুন উদ্যমে মোতায়েন এবং নিজেদের আরও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারে।

গত সপ্তাহে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি পুতিনের প্রতি তাঁর হতাশা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের বলব না। আমরা কি একটু চমক চাই না?’

অবশ্য ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত—এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। লন্ডনভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের সিনিয়র কনসালটিং ফেলো কিয়ার জাইলস আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে পুতিনের বিষয়ে ট্রাম্পের পরিবর্তনশীল অবস্থান নিয়ে মন্তব্যে ভরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই, কোনো কিছু একেবারে বদলে গেছে।’

কিয়ার জাইলস বলেন, ‘সারা বিশ্বে আশাবাদের একটি ঢেউ বইছে যে এটি অবশেষে মার্কিন নীতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। কিন্তু এর আগের প্রতিটি ঘটনাতেই এমন কিছু ঘটেনি।’

প্রকৃতপক্ষে রুবিও ও লাভরভের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর উভয় পক্ষই ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা কূটনৈতিকভাবে যুক্ত থাকতে ইচ্ছুক।

ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ

জুলাই মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ ‘স্থগিত’ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। এক সপ্তাহ পরে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ৮ জুলাই তিনি বলেন, ‘আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের তা করতেই হবে। তাদের (ইউক্রেন) নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হতে হবে। তারা এখন খুব কঠিন হামলার শিকার হচ্ছে।’

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসিকে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, এ অস্ত্রগুলো ন্যাটোর কাছে বিক্রি করা হবে। ন্যাটো এর সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করবে। ন্যাটো এরপর সেগুলো ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করবে।

ন্যাটো মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা ন্যাটোতে অস্ত্র পাঠাচ্ছি। ন্যাটো সেই অস্ত্রের মূল্য পরিশোধ করছে, শতভাগ মূল্য।’ যুক্তরাষ্ট্র এই জোটকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।

ট্রাম্প বলেন, জুনে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে এই চুক্তি হয়েছিল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক তিক্ত বৈঠকের পর ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সাহায্য পাঠানো স্থগিত করেছিলেন। জেলেনস্কিকে অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি যুদ্ধে ৩৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করার জন্য প্ররোচিত করেছেন, যা জেতা সম্ভব নয়।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও
ছবি: রয়টার্স

কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্প আবার অস্ত্র সরবরাহ শুরু করেন। কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল নাগাদ ইউক্রেনকে প্রায় ১৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্পের মাগা (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) শিবির ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তহবিলের বিষয়ে সমালোচনা করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আবারও অস্ত্র পাঠানো শুরু করবে—ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর বেশ কয়েকজন রক্ষণশীল আমেরিকান ব্যক্তিত্ব হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডেরিক ইভান্স লিখেন, ‘আমি এর জন্য ভোট দিইনি।’ ইভান্স ছিলেন ট্রাম্পের সেসব সমর্থকের একজন, যাঁরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেস ভবনে হামলা চালিয়েছিলেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করে দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিত্ব রক্ষণশীল যমজ কিথ ও কেভিন হজ ৮ জুলাই ক্ষোভ প্রকাশ করে এক্সে লিখেছেন, ‘কে ট্রাম্পকে বলছে যে আমাদের ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাতে হবে?’

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ

৮ জুলাই ট্রাম্পের কাছে রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপে কংগ্রেসে প্রস্তাবিত একটি বিল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটি খুব গুরুত্বসহকারে দেখছি।’

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং সামরিক, জ্বালানি, বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল, জাহাজ নির্মাণ ও টেলিযোগাযোগের মতো বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানের ওপর অন্তত ২১ হাজার ৬৯২টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোতে কিছু বিশেষজ্ঞ যেভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ততটা দেশটির অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েনি।

পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জেলেনস্কি বারবার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।

সর্বশেষ খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলার পর শুক্রবার জেলেনস্কি এক্সে এক পোস্ট লিখেন, ‘নিষেধাজ্ঞা জোরদার করতে হবে। আমরা একটি নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ গ্রহণের অপেক্ষায় আছি। রাশিয়াকে চাপ দেওয়া এবং থামানোর জন্য যা কিছু করা সম্ভব, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।’

রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রস্তাবিত একটি দ্বিদলীয় সিনেট বিলে রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও ইউরেনিয়াম আমদানি করে, এমন দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করার কথা বলা হয়েছে। রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ইউরেনিয়ামের বড় আমদানিকারক চীন, ভারত ও ইউরোপের দেশগুলো।

চ্যাথাম হাউসের সিনিয়র কনসালটিং ফেলো কিয়ার জাইলস বলেন, ‘যদি একটি নতুন নিষেধাজ্ঞা বিল পাস হয় এবং বর্তমান প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো মস্কোর ওপর কোনো আর্থিক ক্ষতি চাপিয়ে দেয়, তবে এটি হবে ট্রাম্পের বিদ্যমান নীতির আমূল পরিবর্তন।’

জাইলস আরও বলেন, ‘এখনো দেখা বাকি যে ট্রাম্প আসলে এটি অনুমোদন করবেন কি না। অন্যথায় পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের সম্মান দেখানোর মানে দাঁড়ায়, তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যেকোনো পাল্টা পদক্ষেপ আটকাতে থাকবেন।’

সংঘাত থেকে দূরত্ব বজায় রাখা

গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেছিলেন, যদি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হয়, তাহলে তাঁর দেশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে অন্যদিকে নজর সরিয়ে নিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর প্যারিসে সাংবাদিকদের রুবিও বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এটি (যুদ্ধবিরতি) আদৌ সম্ভব নাকি সম্ভব নয়।’

রুবিও আরও বলেন, ‘কারণ, যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা ঠিকই অন্য বিষয়ের দিকে এগিয়ে যাব বলে আমার মনে হয়। এটি আমাদের যুদ্ধ নয়। আমাদের মনোযোগ দেওয়ার মতো অন্য আরও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় রয়েছে।’

একই দিনে ট্রাম্পও সাংবাদিকদের সঙ্গে রুবিওর সুরেই কথা বলেন। তবে ট্রাম্প সরাসরি বলেননি, তিনি শান্তি আলোচনা থেকে সরে আসতে প্রস্তুত। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা বলতে চাই না। তবে আমরা এর অবসান দেখতে চাই।’

আরও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা

অবশ্য রুবিও ও লাভরভের মধ্যে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা ইঙ্গিত দেয়, যুক্তরাষ্ট্র এখনো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করেনি। আগের দিন রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নতুন চিন্তাভাবনা বিনিময় করেছে। ‘নতুন প্রস্তাবের’ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি নতুন এবং ভিন্ন প্রস্তাব।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এটিকে এমন কিছু হিসেবে চিহ্নিত করব না, যা শান্তির নিশ্চয়তা দেয়। তবে এটি এমন একটি ধারণা, যা আমি প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরব।’

বৃহস্পতিবার রুবিও ও লাভরভের বৈঠকের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ইউক্রেন সংকটের সমাধান নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও খোলামেলা আলাপ হয়েছে। এ বিষয়ে দুই দেশ গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যাবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান অনুসন্ধানে এবং রুশ-মার্কিন অর্থনৈতিক ও মানবিক সহযোগিতা আবার শুরু করার বিষয়ে পারস্পরিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন