কানাডার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা

বিরল মেরুপ্রভা
ছবি : সংগৃহীত

সূর্য থেকে নির্গত একটি জিওম্যাগনেটিক বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় গত সোমবার রাতে এসে পৌঁছায় পৃথিবীতে। এর প্রভাবে দক্ষিণ কানাডার আকাশে চমৎকার বিরল সবুজ আভা দেখা যায়, যা অরোরা বা মেরুপ্রভা হিসেবে পরিচিত। ওই মেরুপ্রভার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিরল মেরুপ্রভার এসব ছবি অনেকে দেখেছেন এবং তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির

অরোরা তৈরির শর্ত হলো সূর্য থেকে তড়িতাহিত সৌরকণা এসে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে আঘাত করতে হবে। আর পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে সৌরকণাগুলো পৌঁছে যায় দুই মেরুতে। এ কারণেই মেরু অঞ্চল থেকে অরোরা ভালো দেখা যায়। এর মধ্যে নর্দার্ন লাইটসকে অরোরা বোরেলিসও বলা হয়। অন্যদিকে সাউদার্ন লাইটস অরোরা অস্ট্রালিস হিসেবে পরিচিত। এই নর্দার্ন বা সাউদার্ন লাইটসের মতো তৈরি হয় স্ট্রং থার্মাল এমিশন ভেলোসিটি এনহ্যান্সমেন্ট (স্টিভ) নামের বিশেষ মেরুপ্রভা। স্টিভ সাধারণত রাতের আকাশে দীর্ঘ ফিকে লাল রঙের রেখার মতো দেখায়। তবে কখনো কখনো এটি খুঁটি বাঁধা বেড়ার মতো সমান্তরাল সবুজ ফিতার মতো দেখায়।

অরোরা দেখা এবং ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য অনেক মানুষ অপেক্ষায় থাকেন। এবারও তা-ই হয়েছে। গত মঙ্গলবার অ্যালান ডায়ার নামের এক ব্যক্তি টুইটারে মেরুপ্রভার ছবি পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘গত রাতে স্টিভ নামের মেরুপ্রভার দারুণ দৃশ্য দেখা গেল। ৭ ও ৮ আগস্ট রাতের আকাশে এ দৃশ্য দেখা যায়। স্টিভ ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়।’

নিউজউইক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার রাতে নর্দার্ন লাইটস বিবর্ণ হয়ে যায়, তখন এই অদ্ভুত বিরল সবুজ আভা দেখা দেয়। এটি প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী ছিল। এ ঘটনা স্ট্রং থার্মাল এমিশন ভেলোসিটি এনহ্যান্সমেন্ট (স্টিভ) নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে কানাডার বিজ্ঞানীরা স্টিভ আবিষ্কার করেন।

টুইটার ব্যবহারকারীরা বিরল সবুজ আভার ছবি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করে নিজের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কেউ কেউ এ নিয়ে মজার মন্তব্যও করছেন। একজন লিখেছেন,‘স্টিভ এখানে আবিষ্কৃত হয়েছিল, তাই সে অন্য জায়গার চেয়ে এখানে উপস্থিত হতেই বেশি পছন্দ করে! সত্যি বলতে, মেরুপ্রভা দেখার জন্য কানাডা সঠিক ভূ-চৌম্বকীয় অক্ষাংশে রয়েছে।’