ফ্লোরিডায় কাস্ত্রোর বোনের মৃত্যু

ওয়ানিতা কাস্ত্রো
ফাইল ছবি: এপি

কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ও রাউল কাস্ত্রোর ছোট বোন ওয়ানিতা কাস্ত্রো গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে ছিলেন। ওয়ানিতার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

কাস্ত্রোর আত্মজীবনীর সহলেখক মারিয়া অ্যান্তোনিতা কলিন্স ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় লেখেন, ‘কিউবার জনগণের জন্য আজীবন অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া ব্যতিক্রমী এক নারী ওয়ানিতা কাস্ত্রো মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।’

১৯৫৯ সালে কিউবায় বিপ্লবের পর ভাই ফিদেল ও রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দিলে ওয়ানিতা ১৯৬৪ সালে কিউবা ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি মিয়ামিতে আশ্রয় নেন।
মিয়ামিতে নির্বাসিত থাকাকালে ওয়ানিতা তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে প্রায় কড়া বক্তব্য দিতেন। এমনকি ভাইকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তিনি ডোনা সাংকেতিক নাম নিয়ে সিআইএর সঙ্গে কাজ করেছেন।

সাত ভাই-বোনের মধ্যে চতুর্থ ওয়ানিতা দক্ষিণ ফ্লোরিডায় একটি ওষুধের দোকান চালু করেছিলেন। কয়েক দশক তিনি সেটাই চালিয়েছিলেন।

ওয়ানিতা একাধারে কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর বোন, আবার দেশ ছেড়ে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন—সব মিলিয়ে তাঁকে বেশ অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে।

আত্মজীবনীতে ওয়ানিতা লিখেছেন, ‘নিঃসন্দেহে নির্বাসিত অন্যান্য ব্যক্তির চেয়ে আমাকে অনেক বেশি কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। ফ্লোরিডার কোথাও তাঁরা আমাকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি।’

ওয়ানিতা লিখেছেন, ‘যাঁরা কিউবায় আছেন, তাঁদের কাছে আমি পলাতক এক মানুষ। কারণ, আমি তাঁদের ছেড়ে এসেছি এবং আমি শাসকগোষ্ঠীর নিন্দা জানিয়েছি। মিয়ামিতে অধিকাংশ মানুষের কাছে আমি অবাঞ্ছিত। কারণ, আমি ফিদেল ও রাউলের বোন।’

ইউনিভিশন সূত্র জানাচ্ছে, হাসপাতালে ওয়ানিতা কাস্ত্রোর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বড় ভাই ফিদেল ৯২ বছর বয়সে হাভানায় মারা যান। তাঁর আরেক ভাই রাউলের বয়স এখন ৯২। তিনি ২০২১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।