ফেন্টানিল মাদকের সরবরাহ বন্ধে চীনের ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ফেন্টানিল মাদক
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

চীনের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এবং কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিলের পাচার বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দিতে চাই। আমরা জানি, মার্কিন জনগণের কাছে ফেন্টানিলের মতো বিষাক্ত মাদক ছড়িয়ে দেওয়ার দায় কার।

আমরা জানি, ফেন্টানিল মাদকের আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের শুরুটা প্রায়ই চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর তা মার্কিন জনগণের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ২৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে চীনভিত্তিক বড় একটি নেটওয়ার্কও আছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় চীনভিত্তিক ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে অবৈধ মাদক ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও আলাদা করে আটটি অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ফেন্টানিল ও মেথামফেটামিন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চীনভিত্তিক ৮টি কোম্পানি এবং এগুলোর ১২ কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গারল্যান্ড বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ তদন্তপ্রক্রিয়ায় চীনা কর্তৃপক্ষ মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে না।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের মুখপাত্র লিউ পেনগিয়ু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে চীন। দেশটির দাবি, চীন সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের মেক্সিকো সফরের আগে আগে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করা হলো। গ্যারল্যান্ডের মেক্সিকো সফরের সময় নির্ধারিত আলোচনায় ফেন্টানিল পাচারের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন কৌঁসুলিদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল পাচারকারী কিছু রাসায়নিক উৎপাদনকারী কোম্পানি ভুয়া শিপিং লেবেল ব্যবহার করছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে আরও কিছু প্রতারণামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা।