ওয়াশিংটন পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক পদে থাকছেন না সালি

সালি বাজবিছবি: নিউইয়র্ক পোস্টের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার ঘোষণা দিয়েছে, নির্বাহী সম্পাদক সালি বাজবির সঙ্গে তাদের আর সম্পর্ক নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে হঠাৎ করেই এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম লুইস এঘোষণা দিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে লুইস বলেন, ‘সালি একজন অসাধারণ নেতা এবং অনেক প্রতিভাবান এক গণমাধ্যম নির্বাহী। তাঁর শূন্যতা অনেক বেশি বোধ করব। তাঁর সামনের দিনগুলোর জন্য অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।’

রোববার লুইস প্রকাশ্যে বাজবির এমন প্রশংসা করলেও তিনি (বাজবি) স্বনামধন্য এ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণভাবে টানাপোড়েনের মধ্যে ছিলেন। তাঁর তিন বছরের মেয়াদে দ্য পোস্ট অনেক পাঠক হারিয়েছে।

যদিও বাজবির তত্ত্বাবধানে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের ঝুলিতে সাংবাদিকতা অঙ্গনের কয়েকটি অর্জন জমা হয়েছে, অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছে। তবে তাঁর মেয়াদেই ওয়াশিংটন পোস্টে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে সংবাদ শিরোনামও হয়েছে, যা সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানটিকে লজ্জায় ফেলে দেয়।

ওয়াশিংটন পোস্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাবেক এডিটর ইন চিফ ম্যাট মারেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সালি বাজবির স্থলাভিষিক্ত করা হবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত মারে সেই দায়িত্বপালন করবেন।

নির্বাচনের পর দ্য টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের উপসম্পাদক রবার্ট উইনেট ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তিনি মূল সংবাদ বিভাগের তদারক করবেন। আর মারে তখন দ্য পোস্টের নতুন একটি সংবাদকক্ষ গঠনের কাজ তদারক করবেন। সেবা কার্যক্রম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিকতার মতো বিষয়গুলো এ সংবাদকক্ষ থেকে তদারক করা হবে।

প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম লুইস বলেন, অতিরিক্ত একটি সংবাদকক্ষ বিভাগ তৈরি করার উদ্দেশ্য হলো সবার সঙ্গে মানানসই একটি কাঠামো তৈরি করা এবং পাঠকেরা যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা।

এই পরিকল্পনার কথা গত মাসেই কর্মীদের জানিয়েছিলেন লুইস। তিনি তখন বলেছিলেন, গত বছর সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানটির ৭ কোটি ৭০ লাখ পাঠক কমেছে। ২০২০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির ৫০ শতাংশ পাঠক কমেছে।

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠকে লুইস বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, আমরা এক গর্তের মধ্যে আছি, আর আমাদের এভাবে কিছু সময় পার করতে হবে।’

লুইসের মতো মারে এর আগে তাঁর ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমে কাটিয়েছেন। মারে ২৯ বছর ধরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কাজ করেছেন। গত বছর তিনি এর শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ান।