মামদানি একই সঙ্গে ভারতের গর্ব, আবার মোদির মতো নেতাদের কঠোর সমালোচক

ভারতীয় বাবা–মায়ের সন্তান জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি মুসলিমও। বিজেপি সরকারের ঘোর সমালোচক হওয়ায় ভারতে কেউ তাঁর জয়ে উদ্বেলিত হলেও কেউ আবার সমালোচনা করছেন। এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএনের অনলাইন সংস্করণে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ প্রতিবেদন করেছেন রিয়া মোগুল।

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর মঞ্চে তাঁর মা বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিনছবি: রয়টার্স

জোহরান মামদানি এই সপ্তাহে নিউইয়র্ক নগরের প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বিজয় ভাষণের বক্তৃতায় তিনি আধুনিক ভারতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জওহরলাল নেহেরুকে উদ্ধৃত করেছেন। এমনকি বলিউডের জমজমাট একটি গানের তালে তালে মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীর এই মুসলিম ছেলের বিজয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি শক্তিশালী এক জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন। নাইন–ইলেভেনের পর ইসলামভীতির গভীর ক্ষত বহনকারী এই নগরে জোহরানের জয়ের বৃহত্তর এক তাৎপর্য রয়েছে।

জোহরানের সাফল্যের ঢেউ আট হাজার মাইলেরও বেশি দূরে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের শহরে শহরে অনুভূত হচ্ছে। সেখানে তাঁর উত্থান একই সঙ্গে উদ্‌যাপিত এবং সমালোচিত হচ্ছে।

ভারতের মুম্বাই শহরের ৪৮ বছর বয়সী গুলফাম খান হুসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে খ্যাতির কেন্দ্র থেকে বঞ্চিত ছিলাম।’

শিল্পী তানিয়া লালওয়ানি বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কেউ এত দূর এসেছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।’

জোহরান মামদানির বিজয় তাঁকে আন্তর্জাতিক স্তরের এমন একদল প্রবাসী নেতার কাতারে দাঁড় করিয়েছে, যাঁরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনীতির বাধা ডিঙিয়েছেন। কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে পৌঁছেছেন; আটলান্টিকের ওপারে ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আর সাদিক খান লন্ডনের মেয়র হয়েছেন।

অন্যদিকে লিও ভারাদকার আয়ারল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং হামজা ইউসুফ স্কটল্যান্ডের সরকারের প্রধান হয়েছেন।

তবে জোহরানের নির্বাচন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের একটি কেন্দ্রীয় নীতিকে আরও জোরালো করেছে। সেটি হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার এবং তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডার কট্টর সমালোচনা।

‘উগান্ডা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের মিশ্রণ’

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার টানা তিনবারের নির্বাচিত সদস্য জোহরান মামদানি যে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন (কুইন্সের অংশবিশেষ, যা নিউইয়র্ক নগরের জাতিগত ও ভাষাগতভাবে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলোর একটি), তিনি নিজেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিমূর্তি।

জোহরান উগান্ডার একজন অভিবাসী। তাঁর ভারতীয় বাবা-মা ভারতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-পরবর্তী কেপটাউনে তাঁর শৈশব কাটে, এরপর তাঁর পরিবার নিউইয়র্ক নগরে বসতি স্থাপন করে।

জোহরান কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত পোস্ট-কলোনিয়াল স্টাডিজের অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি ও বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের ছেলে। মীরা নায়ারের ‘মিসিসিপি মাসালা’, ‘দ্য নেমসেক’ এবং ‘মনসুন ওয়েডিং’-এর মতো কাজে প্রবাস, স্থানচ্যুতি এবং পরিচয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর বিজয় ভাষণে জোহরান তাঁর এই পরিচয়ের কথা উল্লেখ করেন।

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এক সমাবেশ মঞ্চে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি এবং তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি। ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক, ৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: রয়টার্স

জোহরান বলেন, ‘বড় হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও আমি তরুণ। আমি মুসলিম। আমি একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী এবং সবচেয়ে নিন্দনীয় বিষয় হচ্ছে, এর কোনোটির জন্য আমি ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করি।’

বিজয়–বক্তৃতার সময় জোহরান মামদানি ভারতীয় ইতিহাসের গভীরে ফিরে যান। তিনি দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে উদ্ধৃত করেন। তিনি ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে নেহরুর দেওয়া বিখ্যাত ‘ট্রিস্ট উইথ ডেসটিনি’ বক্তৃতার প্রতীকী সূচনা অংশটি বেছে নেন।

বক্তৃতা শেষ করার পর বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘ধুম’-এর জনপ্রিয় গান ‘ধুম মাচালে’ গানের বিদ্রোহী সুর বাজতে শুরু করে, যার ফলে কক্ষটি তুমুল করতালিতে ফেটে পড়ে।

গুলফাম খান বলেন, ‘জোহরান মামদানি যখন (নেহরু) উদ্ধৃত করলেন, তখন আমাদের হৃদয়ে কিছু আবেগ আলোড়িত হয়েছিল। আর ধুম মাচালে? কী বলব? বলিউড রকস।’

একজন তৃণমূল গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী রাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে জোহরানের উত্থান প্রবাসীদের আগামী অধ্যায়ের প্রতীক। এটি এমন এক প্রজন্ম, যাঁরা শুধু সংহত হওয়ার চেয়েও বেশি কিছু করে রাজনীতির ভেতরে পরিবর্তন আনছেন।

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি ২০২৫ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তাঁর সমর্থকদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিন
ছবি: রয়টার্স

অধ্যাপক মিশ্র বলেন, ‘এটা অনেক বড় ব্যাপার যে একজন সাধারণ নাগরিক এবং যাঁর পরিচয় উগান্ডা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের মিশ্রণ...যিনি একজন মুসলিমও—তিনি ডেমোক্রেটিক দলের রাজনীতিকে নতুন আকার দিতে প্রস্তুত।’

মিশ্র আরও যোগ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন যেখানে অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করছে, এইচ-১বি ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপ এবং আগ্রাসী আইসিই অভিযান চালাচ্ছে, ঠিক তখনই জোহরানের রাজনৈতিক উত্থান বিভিন্ন প্রজন্ম ও জাতীয়তার দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের জন্য গভীর তাৎপর্য বহন করে।

মিশ্র বলেন, দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীরা আরও বেশি পরিমাণে রাজনৈতিক আলোচনায় প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।

ভারতের সমালোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহর ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে নিউইয়র্কের যেকোনো মেয়র বিশ্বমঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান। আর জোহরানের ক্ষেত্রে সেই ভূমিকা হয়তো কয়েক হাজার মাইল দূরের একটি সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তাঁর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন কড়া সমালোচক হিসেবে জোহরান তাঁর পৈতৃক ভূমিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বলে যা মনে করেন, সেটার নিন্দা জানিয়েছেন।

জোহরান বিজেপির নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সমালোচনা করেছেন। সমালোচকদের মতে, ধর্মকে নাগরিকত্বের মানদণ্ড করে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে বিজেপি সরকার। এ ছাড়া তিনি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিলসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন।

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিন
ছবি: রয়টার্স

মোদির বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে জোহরান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও অভিহিত করেছেন। ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি মোদিকে নিয়ে এমন কথা বলেছিলেন।

একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য হিন্দুরা মুসলিমদের দায়ী করেছিল। ওই ট্রেনে আগুনের ঘটনায় কয়েক ডজন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে তাঁরা মুসলিম মালিকানাধীন বাড়িঘর এবং দোকানগুলোতে আক্রমণ করেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এক হাজারের বেশি মানুষ ওই দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের বেশির ভাগই মুসলিম।

ওই দাঙ্গার ঘটনায় রাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ এতটা গুরুতর ছিল যে বহু বছর ধরে মোদির যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তিনি অবশ্য কোনো ভুল করেননি বলে দাবি করেছিলেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ওই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।

মোদি-সমর্থকদের অনেকের কাছে জোহরানের বক্তব্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমণ হিসেবে দেখা হয়।

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সঞ্জু বর্মা ‘এক্স’–এ লিখেছেন। ‘জোহরান একজন উগ্র মিথ্যাবাদী। তিনি একজন হিন্দুবিদ্বেষী গোঁড়া মানুষ।’

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানির জয়ের পর সমর্থকেরা উল্লাস করছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক
ছবি: রয়টার্স

বিজেপির আরেক রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রনৌত বলেন, জোহরান মামদানিকে ‘ভারতীয়দের চেয়ে বেশি পাকিস্তানি মনে হয়’। ভারতের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর হিন্দু পরিচয় বা বংশের কী হলো আর এখন তিনি হিন্দুত্বকে মুছে দিতে প্রস্তুত।’

তবে বহু হিন্দু সঞ্জু বা কঙ্গনার এসব মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন।

দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় নাগরিক অধিকারের পক্ষে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘হিন্দুজ ফর হিউম্যান রাইটস’-এর সিনিয়র পলিসি ডিরেক্টর রিয়া চক্রবর্তী বলেন, জোহরান এবং তাঁর প্রচার দল দক্ষিণ এশীয় মার্কিনদের প্রতীকী প্রতিনিধিত্বের বাইরে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণ এশীয় মার্কিনদের উত্থাপিত উদ্বেগগুলো চিহ্নিত করছে।

এই হিন্দু অ্যাডভোকেসি সংস্থাটি মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদের সংস্কৃতির বিরোধিতা করে। কারণ, এটি বহুত্ববাদ ও ন্যায়বিচারের মতো মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তারা মনে করে।

চক্রবর্তী বলেন, যখন একজন বিশিষ্ট মার্কিন রাজনীতিবিদ ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার মতো ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, তখন এটি ভারতে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সরাসরি শক্তি জোগায়।

রিয়া চক্রবর্তী বলেন, তারা জানে, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক চাপের প্রতি খুব সংবেদনশীল, যা কর্মীদের আরও রসদ সংগ্রহের সাহস জোগায়। আন্তর্জাতিক কোনো রাজনীতিবিদ বা সাংবাদিক সরকারের ওপর যাতে চাপ প্রয়োগে সেই রসদ ব্যবহার করতে পারেন।

তবে ভারতে সামগ্রিক মনোভাব বিচার করা কঠিন ছিল। অবশ্য ভারতের গণমাধ্যমে তাঁকে নিউইয়র্কের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মেয়র হিসেবে শিরোনাম করে বিজয় উদ্‌যাপন করেছে।

জোহরান মামদানির জয়ের পর এক সমর্থক ‘আফ্রিকানস ফর জোহরান’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিন
ছবি: রয়টার্স

যাঁরা জোহরানকে চেনেন, তাঁদের কাছে এই দৃশ্যপট রাজনৈতিক চাপের চেয়েও বেশি কিছু নয়। এটি সহজ, নির্ভেজাল গর্বের বিষয়। এই আনন্দের ঢেউ অনলাইনেও দেখা গেছে, যেখানে কেউ কেউ তাঁর বিজয়কে ভারতের নিজেদের জয় হিসেবে দাবি করেছেন।

মুম্বাইয়ের খান বলেছেন, ‘আমরা নেতাদের দেশ ও জোহরানের জয় ভারতের রঙিন মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করল।’

মুম্বাইয়ের এই বাসিন্দা বলেন, ‘যখনই চ্যালেঞ্জ আসে, আমরা বিশ্বকে একজন গান্ধী, একজন সুনাক, একজন জোহরান উপহার দিই। আর এটি কেবল শুরু।’