রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ‘চাপ বাড়াচ্ছেন’ ট্রাম্প
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ওয়াশিংটন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্ররা চাপ বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইতিবাচক কোনো ফল না মেলার পর এমন পদক্ষেপ নিলেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এ সময় এএফপির এক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেন—ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তিনি তৎপরতা বাড়াবেন কি না? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা চাপ বাড়াচ্ছি। একসঙ্গে এটা বাড়াচ্ছি। ন্যাটো খুব ভালো কাজ করছে।’
ফিলিস্তিনের গাজায় যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, তাতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন ট্রাম্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পুতিন ছাড়াও একাধিকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ওই বৈঠক হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে—গত আগস্টে। গত বুধবার রাশিয়া বলেছে, যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়ায় যে গতি এসেছিল, তা ওই বৈঠকের পর থেকে বড় অংশে থেমে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার আলেকজান্ডার স্টাব বলেন, শান্তিচুক্তির এই যুদ্ধ ট্রাম্প থামাতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাস আছে তাঁর।
‘আমরা সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছি’
গাজায় সংঘাত বন্ধে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাস ও ইসরায়েলের রাজি হওয়ার বিষয়টি বুধবার জানান ট্রাম্প। পরদিন বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সাত যুদ্ধ থামিয়েছে তাঁর প্রশাসন। গাজায় সংঘাত থামানোর প্রচেষ্টা আট নম্বর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এই বিশ্বে সব যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সবচেয়ে দ্রুত থামাতে পারব। আমি মনে করি সেটিও ঘটতে যাচ্ছে। তবে এই সময়ের মধ্যে তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭ হাজার মানুষকে হারিয়েছে। এটি বেশ খারাপ মনে হচ্ছে। এই যুদ্ধ শুরু হওয়াই উচিত ছিল না। আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এমনটা হতো না।’
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও একই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি ক্ষমতায় বসার সাত মাসে এমন সব অর্জন করেছেন, যা অনেকেই অসম্ভব বলে ভেবেছিলেন।