রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে তা খুব বিপজ্জনক হতে পারে: বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনফাইল ছবি: এএফপি

পবিত্র রমজানের আগে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে ‘খুবই বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গতকাল মঙ্গলবার বাইডেন এই সতর্কতার কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি গ্রহণের বিষয়টি হামাসের ওপর নির্ভর করছে।

গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনা চলছে। এদিকে, গাজায় দ্বিতীয়বারের মতো উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

মিত্র ইসরায়েলকে বাইডেন বলেন, গাজায় আরও সহায়তা পৌঁছাতে না দেওয়া নিয়ে কোনো অজুহাত চলবে না।

ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলার মধ্যে থাকা গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

গাজায় ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা এবং বেসামরিক মানুষের মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা বাড়ছে। অন্যদিকে, জিম্মিদের মুক্তিসহ যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাস রাজি না হওয়ার কারণেও যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেনের কাছ থেকে এমন বক্তব্য এল।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিড থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরার সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা এখন হামাসের হাতে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলিরা সহযোগিতা করছে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি যৌক্তিক। তাঁরা কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তবে যুদ্ধবিরতি দরকার।

বাইডেন আরও বলেন, ‘রমজানের কারণে যুদ্ধবিরতি করতে হবে। যদি এই পরিস্থিতি রমজানেও চলতে থাকে, ইসরায়েল ও জেরুজালেমের অবস্থা খুব খুব বিপজ্জনক হতে পারে।’

চান্দ্রমাসের ওপর নির্ভর করে ১০ বা ১১ মার্চ পবিত্র রমজান শুরু হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

সরকারি তথ্যের আলোকে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গত নভেম্বরের শেষের দিকের এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় হামাস। ইসরায়েল বলেছে, গাজায় এখনো প্রায় ১৩০ জন জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় ৩০ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।