রুশ-মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্য বিরল ফোনালাপ

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন
ছবি: এএফপি

ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। গতকাল শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন নিজেদের মধ্য ফোনে কথা বলেছেন। রাশিয়া ও আমেরিকা বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই নেতা কথা বলেছেন। এর আগে গত ১৩ মে এই দুই নেতা টেলিফোনের কথা বলেছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্য কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, তার বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি কোনো পক্ষ থেকেই। উভয় পক্ষই জানিয়েছে, তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

পেন্টাগণের প্রেস সচিব প্যাট রাইডার বিবিসকে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘যোগাযোগের পথ খোলা রাখতে আগ্রহী’। তিনি বলেন, মে মাসে এই দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্য কথা হয়েছে। তাই লয়েড অস্টিন আজ শনিবার আবার শোইগুর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটি নিয়েছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বর্তমান পরিস্থিতিসহ, ইউক্রেনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

এর আগে, সর্বশেষ গত ১৩ মে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন কোনো আহ্বান জানানো হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত করেছিলেন যে ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, পুতিন এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। এর আলোচনার মধ্য  দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ফোনে কথা বললেন।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্য যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরই আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল। এ বৈঠককে তখন ভালো সম্পর্কের দিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের কারণে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এ অগ্রগতি আপতত থমকে আছে।