ঘুষের মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্তের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর আবেদন ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘুষের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন নিউইয়র্কের আদালত। সেই মামলায় তাঁকে আদালতের দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। পাশাপাশি এ মাসে তাঁর সাজা ঘোষণার দিন পেছানোর দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্কে এ মামলার বিচারকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। চিঠিতে তাঁরা বলেন, গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ জারি করেছেন। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি যেসব প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেছেন, সেসবের জন্য দায়মুক্ত থাকবেন ট্রাম্প।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। এ–সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়, যার সব কটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ১১ জুলাই তাঁর সাজা ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প বেশ কিছু ব্যবসায়িক নথিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, বিষয়টিকে তাঁর দাপ্তরিক কাজ হিসেবেই বিবেচনায় নেওয়া উচিত। গত বছরও আইনজীবীরা একই দাবি তোলেন। ওই সময় তাঁরা জানান, ওই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের অধীনে দাপ্তরিক কাজের মধ্যেই পড়ে।
তবে এক ফেডারেল বিচারক লিখেছেন, ট্রাম্প তাঁর ওই কাজকে দাপ্তরিক কাজ হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি।
গতকাল ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি মামলার রায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানান, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীন ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি।
সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দাপ্তরিক কাজের মধ্যে পড়ে।
রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প ও তাঁর আইনজীবীরা যে ব্যাপক সুবিধা পাওয়ার আশা করেছিলেন, তা পাননি। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে উচ্চ আদালতের এ রায়ে অনেকটাই সুবিধাজনক স্থানে চলে গেলেন ট্রাম্প।