কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিল পুলিশ, পরে মৃত্যু

পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারানো ফ্রাঙ্ক টাইসনছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া

‘আমি সব সময় পানশালার (বার) ভেতর এমন মারামারির মধ্যে থাকতে চেয়েছিলাম’—কথাটি যুক্তরাষ্ট্রের একজন পুলিশ সদস্যের। এক ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এ কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, পানশালার ভেতর একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ মাটিতে পড়ে আছেন। তাঁকে মাটিতে চেপে ধরে, তাঁর ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন ওই পুলিশ সদস্য। পরে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান।

এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা ও তদন্তের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের পুলিশ। অনেকে বলছেন, এ ঘটনা ২০২০ সালে মিনেয়াপোলিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডে তখন বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। এরপরও কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশের  নির্যাতন কমেনি।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শরীরে বসানো ক্যামেরায় এ নির্যাতনের ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে। পরে সমালোচনার মুখে ক্যানটন পুলিশ বিভাগ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম ফ্রাঙ্ক টাইসন (৫৩)। ১৮ এপ্রিলের এক সড়ক দুর্ঘটনায় সন্দেহভাজন ছিলেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে চেপে থাকা অবস্থায় বারবার সাহায্য চাইছিলেন টাইসন। তিনি বলছিলেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।’ এরপরও পুলিশ সদস্যরা তাঁকে মাটিতে চেপে ধরেন, হাতকড়া পরান। এ সময় এক পুলিশ সদস্য টাইসনের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে বলেন, ‘তুমি ভালো আছ।’

তখন টাইসন ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মিনিট পর পুলিশ সদস্যরা বুঝতে পারেন, টাইসন আর সাড়া দিচ্ছেন না। পরে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মারা যান টাইসন।

ওই ভিডিও ফুটেজে এক পুলিশ সদস্যকে পানশালার ভেতরে এ ধরনের কাজের জন্য গর্ব করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় দুই অভিযুক্ত পুলিশ বেউ শোয়েনেগে ও ক্যামডেন বার্চ ওহাইও ব্যুরো অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের আধীনে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁদের প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।