প্রমোদতরীতে এ কোন ইলন মাস্ক

বন্ধুদের নিয়ে গ্রিসে সমুদ্রবিলাসে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক
ছবি: টুইটার

টুইটার কেনার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। কিন্তু নানা ‘অজুহাতে’ সম্প্রতি টুইটার কেনার চুক্তি থেকে সরে যান তিনি। এ নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে এতে কোনো হেলদোল নেই মাস্কের। প্রমোদতরী নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে তাঁকে সমুদ্রবিলাসে দেখা গেছে। খবর এনডিটিভির।

সম্প্রতি গ্রিসের মাইকোনোসে বিলাসবহুল একটি প্রমোদতরীতে খালি গায়ে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রস্নানে দেখা গেছে মাস্ককে। এ রকম কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা মাস্ককে পানীয় হাতে খালি গায়ে রোদ পোহাতে দেখা যায়। এই ধনকুবেরের ভ্রমণসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন ডিজাইনার সারাহ স্টাউডিঙ্গার এবং তাঁর স্বামী আরি এমানুয়েল।

তারকাদের খবরের জন্য পরিচিত ‘পেজ সিক্স’ নামের একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, মাস্কের সঙ্গে ওই প্রমোদতরীতে গ্রিসে ছুটি কাটাচ্ছেন তাঁর বন্ধুরা। সেটির সাপ্তাহিক ভাড়া ২০ হাজার ডলার। ওই তরীর তিন কেবিনে ছয়জনের থাকার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের সেবায় রয়েছেন পেশাদার একজন নাবিক।

ছবিতে সাঁতারের জন্য ব্যবহৃত কালো প্যান্ট পরে মাস্ককে পানি থেকে উঠতে দেখা যায়। এরপর সাদা তোয়ালে শরীরে জড়িয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে তাঁকে। হাতে পানীয়র গ্লাস। অবশ্য অন্য আরেকটি ছবিতে তাঁকে সাদা টিশার্ট পরে থাকতে দেখা গেছে।

মাস্ক বন্ধুদের নিয়ে যে প্রমোদতরীতে আছেন, তার নাম ‘জিউস’। সেটির পেছনের অংশ থেকে বন্ধুদের সবাইকে হাসতে হাসতে সমুদ্রে লাফ দিতে দেখা যায়।

টুইটার কেনার চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর মাস্কের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেছে টুইটার। গত এপ্রিলের শেষ দিকে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনার ঘোষণা দেন মাস্ক।

এরপর গত ৮ জুলাই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। মাস্কের দাবি, স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি টুইটার। তাই তিনি টুইটার কিনতে চান না।

এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। টুইটারের অভিযোগ, মামলা বিলম্বিত করার কৌশল নিয়েছেন মাস্ক। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মাস্ক চুক্তি থেকে সরে আসতে চাইলেও প্রক্রিয়াটি সহজ হবে না। এ ছাড়া চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পেছনে দায়বদ্ধ পক্ষ অর্থাৎ ইলন মাস্ককে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে।