আজারবাইজান ও মেক্সিকোকে সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘুষ নিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য হেনরি কুয়েলারছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য হেনরি কুয়েলার ও তাঁর স্ত্রী ইমেল্ডা কুয়েলারের বিরুদ্ধে ছয় লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা আজারবাইজানের সরকারি মালিকানাধীন একটি তেল কোম্পানি ও মেক্সিকোর একটি ব্যাংক থেকে ঘুষ নিয়েছেন।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক পার্টির এ সদস্য এক বিবৃতিতে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুক্রবার ৬৮ বছর বয়সী হেনরি কুয়েলার বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমি এবং আমার স্ত্রী নির্দোষ।’

কুয়েলার এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ঘুষ নেওয়া, অর্থ পাচার এবং বিদেশি সংস্থায় এজেন্ট হিসেবে কাজ করা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে, ২০১৪-২১ সাল পর্যন্ত এসব ঘুষ লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী এবং ৬৭ বছর বয়সী ইমেল্ডা কুয়েলারের (হেনরি কুয়েলারের স্ত্রী) মালিকানাধীন কোম্পানির মাধ্যমে কয়েকটি চুক্তি করে ঘুষ আদান-প্রদান হয়েছে। ঘুষ নেওয়ার বিনিময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি যেন আজারবাইজানের পক্ষে যায়, তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কুয়েলার। মেক্সিকো সিটিভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতেও সম্মত হয়েছিলেন তিনি।

অভিযোগ আছে, কুয়েলার দম্পতি ওই ঘুষের অর্থগুলো দিয়ে নিজেদের ধারদেনা পরিশোধ করেছেন এবং পরিবারের জন্য খরচ করেছেন।

নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট–দলীয় সিনেটর রবার্ট মেনেন্ডেজের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, মিসর ও কাতার সরকারকে সুবিধা পাইয়ে দিতে সিনেটর তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন। এর বিনিময়ে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ঘুষ নিয়েছিলেন।

হেনরি কুয়েলার প্রথম ২০০৪ সালে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-আজারবাইজান সম্পর্কোন্নয়নে গঠিত কংগ্রেসনাল আজারবাইজান ককাসের সাবেক কো-চেয়ার।

কুয়েলারের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই কংগ্রেস নেতা নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাবেন।