বাল্টিমোরে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

পাতাপসকো নদীর মুখে ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুর একটি ভিত্তিস্তম্ভের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগলে সেতুটি ভেঙে পড়েছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর পোতাশ্রয়ে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কোস্টগার্ড ও ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্মকর্তারা এমন আশঙ্কা জানিয়েছে।

গত সোমবার রাতে সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকে ওই শ্রমিকেরা নিখোঁজ। ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তারা তল্লাশি অভিযান স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, অন্ধকারে পানিতে ডুবে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালাতে ডুবুরিরা হিমশিম খাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা শ্যানন গিলরিথ বলেন, নিখোঁজ শ্রমিকদের জীবিত খুঁজে পাওয়ার কোনো আশা নেই। কারণ, এখানকার পানি হিমশীতল এবং দুর্ঘটনার পর অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন

ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তা রোল্যান্ড বাটলার বলেন, আজ বুধবার সূর্যোদয়ের পর শ্রমিকদের দেহাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টায় ডুবুরিরা আবারও পানিতে নামবেন বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পাতাপসকো নদীর মুখে ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুর একটি ভিত্তিস্তম্ভের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটির নাম দালি। এটি বাল্টিমোর পোতাশ্রয় থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা করেছিল। ঘটনার আগে জাহাজটির ‘বিদ্যুৎ–সংযোগব্যবস্থা’ অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।

জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির একটি অংশ বরফশীতল পানিতে ভেঙে পড়ে। এতে সেতুতে থাকা গাড়ি ও মানুষ নদীতে পড়ে যায়।

কর্মকর্তারা এর আগে বলেন, উদ্ধারকারীরা দুজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। তাঁদের একজন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁরা দুজন এবং নিখোঁজ ছয়জনের সবাই শ্রমিক। তাঁরা ওই সেতুর সড়ক অংশের গর্ত ভরাটের কাজে নিযুক্ত ছিলেন।