পুড়ে যাওয়া ভাঙাচোরা গাড়িটি বিক্রি হলো ২০ কোটি টাকায়

গাড়ির ভাঙাচোরা কাঠামোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যে বিক্রি হয়েছে
ছবি: আরএম সদবির ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

গাড়িটি ভাঙাচোরা। পুড়েও গেছে অনেকটা। তা–ও আবার কয়েক দশকের পুরোনো। সেই গাড়িই ১৮ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ২০ কোটি টাকারও বেশি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে নিলামপ্রতিষ্ঠান সদবি’স–এর এক নিলামে এটি বিক্রি হয়। এটি ফেরারি রেসের গাড়ি।

গাড়িটি ১৯৫৪ সালে তৈরি। ওই বছর ফেরারি মন্ডিয়াল স্পাইডার সিরিজের ১৩টি গাড়ি তৈরি হয়েছিল। এটি তারই একটি। ১৯৫৪ সালে গাড়িটি চালাতেন ফ্রাঙ্কো কোর্তেজ নামের এক ব্যক্তি।

শুরুতে ইতালির বিখ্যাত নকশাকারী প্রতিষ্ঠান পিনিন ফারিনার নকশা ব্যবহার করে গাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আগে সেটি পাল্টে স্কাগলিয়েত্তির তৈরি বডি ব্যবহার করা হয়।

পঞ্চাশের দশকের শেষে কিংবা ষাটের দশকের শুরুর দিকে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয় এবং পুড়ে যায়। তবে কয়েক দশক পার হয়ে গেলেও কীভাবে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয় ও পুড়ে যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। গাড়িটির মূল ইঞ্জিনও পাল্টানো হয়েছিল।

১৯৭৮ সালে ফেরারি গাড়ির সংগ্রহকারী ওয়াল্টার মেডলিন গাড়িটি কিনে নেন। বর্তমানে গাড়িটি যে অবস্থায় আছে, ৪৫ বছর ধরে সে অবস্থাতেই গাড়িটি তিনি সংরক্ষণ করে আসছেন।

এখন পর্যন্ত নিলামে বিক্রি হওয়া ফেরারি গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম উঠেছিল ১৯৬২ সালে নির্মিত একটি ফেরারি ২৫০ জিটিও গাড়ির। ২০১৮ সালে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে এটি বিক্রি হয়েছিল।

১৯৫৪ সালে গাড়িটি চালাতেন ফ্রাঙ্কো কোর্তেজ নামের এক ব্যক্তি
ছবি: আরএম সদবির ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

গাড়ির মূল্য পর্যালোচনাকারী কোম্পানি হাগের্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান রাবোল্ড বলেন, ফেরারি মন্ডিয়াল স্পাইডার সিরিজের গাড়িগুলো ভালো অবস্থায় থাকলে সাধারণত ২০ লাখ ডলারের সামান্য বেশি দামে বিক্রি হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কোনো কোনোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যেও বিক্রি হয়েছে।

ব্রায়ান রাবোল্ড আরও বলেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে সম্প্রতি বিক্রি হওয়া ফেরারি গাড়ির ভাঙাচোরা অংশটিকে ক্রেতা চাইলে আবারও বিধ্বস্ত হওয়ার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এটি চালানোও যাবে। তবে এর জন্য তাঁকে আরও ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকা) খরচ করতে হবে।

গাড়িটি কে কিনেছেন, তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।