রুশ জঙ্গিবিমানের ধাক্কায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে যা ধরা পড়েছিল মার্কিন ড্রোনের ক্যামেরায়

বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে রুশ যুদ্ধবিমানের তৎপরতা
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় কমান্ড। ভিডিওটি বিধ্বস্ত হওয়া ড্রোনটি থেকে ধারণ করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।

ভিডিওটি ধারণের সময় এমকিউ–৯ রিপার ড্রোনটির ক্যামেরা পেছনের দিকে ফেরানো ছিল। ক্যামেরায় ড্রোনের পেছনের পাখা ও প্রপেলার দেখা যাচ্ছিল। হঠাৎ দেখা যায়, সেটির দিকে রাশিয়ার একটি এসইউ–২৭ যুদ্ধবিমান ধেয়ে আসছে। ড্রোনটির কাছাকাছি এসে সেটি জ্বালানি তেল ছাড়তে থাকে।

ভিডিওর আরেকটি অংশে দেখা যায়, রুশ যুদ্ধবিমানটি আবার ড্রোনটির পেছনে ছুটে আসছে। এবারও সেটি জ্বালানি তেল ছাড়ে। এ সময় ড্রোনের প্রপেলারের সঙ্গে যুদ্ধবিমানটির আঘাত লাগে। এরপর ড্রোনটির ভিডিও বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার ভিডিও চালু হলে দেখা যায়, আঘাত লেগে প্রপেলারের ক্ষতি হয়েছে। ফলে সেটি কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, ড্রোনটি নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হতো। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সেটিতে থাকা সংবেদনশীল সফটওয়্যারটি মুছে ফেলা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য, ড্রোনে থাকা কোনো গোপন তথ্য যেন শত্রুপক্ষের হাতে না পড়ে।

আরও পড়ুন

এদিকে কৃষ্ণসাগরে ভেঙে পড়া এই ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রাশিয়া খুঁজবে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছেন দেশটির সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, কৃষ্ণসাগরে মার্কিন নজরদারি ড্রোনের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে চলমান যুদ্ধে (ইউক্রেন যুদ্ধ) যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন

যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় নিয়মিত অভিযানে অংশ নিয়েছিল এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি। সেটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান যে তৎপরতা দেখিয়েছিল, তা ‘অনিরাপদ ও অপেশাদার’।

আরও পড়ুন