যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নারীর বিরুদ্ধে ১৩০০ ডলারের পণ্য চুরির অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে সফররত ভারতীয় এক নারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় টার্গেট স্টোরে চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভারতীয় ওই নারী সাত ঘণ্টারও বেশি সময় দোকানটিতে অবস্থান করেন। তাঁর সন্দেহজনক আচরণ নজরে এলে দোকানের কর্মীরা তা কর্তৃপক্ষকে জানান।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই নারী দোকানটি থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৩৯ পয়সা হিসাবে যা ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার বেশি) বিভিন্ন পণ্য চুরি করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে তাঁর নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বডিক্যামেরার ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সম্পর্কে জানা যায়। ভিডিওতে দোকানের একজন কর্মী অভিযোগ করেন, ভারতীয় ওই নারী দীর্ঘ সময় দোকানটির ভেতরে ঘোরাঘুরি করেন। পরে অর্থ পরিশোধ না করেই পণ্যভর্তি একটি ঝুড়ি নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দোকানের একজন কর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই নারীকে ৭ ঘণ্টা ধরে দোকানে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। তিনি বিভিন্ন পণ্য হাতে নিয়ে দেখেন ও নিজের মুঠোফোন চেক করেন। এভাবে এক সারি থেকে আরেক সারিতে চলে যান। সবশেষে বিল পরিশোধ না করেই দোকানের পশ্চিম পাশের গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।’
পরে পুলিশ এসে ওই নারীকে আটক করে। তখন তিনি পণ্যের দাম পরিশোধ করার প্রস্তাব দেন। পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসারও চেষ্টা করেন তিনি। ওই নারী বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি এই দেশের মানুষ না। আমি এখানে থাকবও না।’
এ সময় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারতে কি আপনাকে চুরি করতে দেওয়া হয়? আমি তো তা মনে করি না।’ দোকানে বিল যাচাই করার পর পুলিশ ওই নারীকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ১ মে টার্গেট স্টোর থেকে এক ভারতীয় নারী ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পণ্য চুরির করলে পুলিশকে ডাকা হয়। তিনি কয়েক হাজার ডলারের জিনিসপত্রের দাম না দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এটা সেই ঘটনার পরের দৃশ্য।’
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি একজন অভিবাসী। এ দেশে অতিথি হয়ে এসে এমন সাহস দেখিয়ে আইন ভাঙা আমার কল্পনারও বাইরে।’ আরেকজন লিখেন, ‘এখানে কোনো সাংস্কৃতিক বা ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা নেই। ওই নারী স্পষ্টভাবেই জানেন, তিনি কী করছেন।’
এ ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের দোকান থেকে পণ্য চুরি, ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া এবং বিদেশিদের জন্য আইনি পরিণতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। টার্গেট স্টোর এখন পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকেও ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়নি।