ধর্ষণ মামলায় হার্ভেকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২০ সালে দেওয়া রায় বাতিল

হার্ভে ওয়েনস্টেইনফাইল ছবি: রয়টার্স

ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ২০২০ সালে হার্ভে ওয়েনস্টেইনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বিচারিক আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় বাতিল করেছেন নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালত। সাবেক হলিউড মোগল হার্ভের বিরুদ্ধে এই মামলায় নতুন করে বিচার হবে।

হার্ভের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অনেকে নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাশলে জুড সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বাসঘাতকতার একটি কাজ হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারিক আদালতে হার্ভে ন্যায়বিচার পাননি—এর ভিত্তিতে রায় বাতিল করেছেন নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে আদালত নতুন করে বিচারের আদেশ দিয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নির দপ্তর ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা হার্ভেকে আবার বিচারের মুখোমুখি করার পরিকল্পনা করছে।

নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালতের গতকালের সিদ্ধান্তটি এসেছে ৪-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ভিত্তিতে। অঙ্গরাজ্যের আপিল আদালত বলেছেন, বিচারিক আদালতে এই মামলার বিচারে গুরুতর ভুল হয়েছে। বিচারিক আদালতে এমন সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, যাঁদের অভিযোগ এই মামলার অংশ ছিল না।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের বিচারকদের পক্ষে রায় লিখেছেন বিচারক জেনি রিভেরা। তিনি লিখেছেন, বিচারিক আদালতে যে গুরুতর ত্রুটি হয়েছে, তার প্রতিকার হলো নতুন বিচার।

হার্ভে (৭২) নিউইয়র্কের একটি কারাগারে আছেন। তবে তিনি শিগগির কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ, ধর্ষণের পৃথক মামলায় তাঁর কারাদণ্ড রয়েছে।

২০১৩ সালে এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের দায়ে হার্ভেকে দোষী সাব্যস্ত করেন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত। এই মামলায় তাঁকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছর ঘোষণা এই কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।

সাবেক প্রযোজনা সহকারী মিরিয়াম হ্যালিকে ২০০৬ সালে যৌন নিপীড়ন এবং উদীয়মান অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ২০১৩ সালে ধর্ষণের দায়ে ২০২০ সালে হার্ভেকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিউইয়র্কের বিচারিক আদালত। এই মামলায় তাঁকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এখন এই দোষী সাব্যস্তের রায় বাতিল হলো।

এক সংবাদ সম্মেলনে হার্ভের আইনজীবী আর্থার আইডালা এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকার জন্য একটি দুর্দান্ত দিন বলে অভিহিত করেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাশালীদের আইনের আওতায় এনে জবাবদিহি করার চ্যালেঞ্জ সামনে আনছে এই ঘটনা।