যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে গুলিতে ৪,৭৫২ শিশু নিহত

টেনেসির হাউস চেম্বারে জননিরাপত্তাবিষয়ক অধিবেশন চলার সময় দর্শক সারিতে থাকা একজন শিশুদের সুরক্ষার দাবি জানান
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে গুলিতে রেকর্ডসংখ্যক শিশু নিহত হয়েছে। ‘আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’ (এএপি) প্রকাশিত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্র প্রকাশিত মৃত্যুহার–সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে। গত সোমবার এএপির পেডিয়াট্রিক সাময়িকীতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, ২০২১ সালে গুলিতে ৪ হাজার ৭৫২ শিশু নিহত হয়েছে, যা ২০২০ সালের চেয়েও বেশি। ওই বছর গুলিতে ৪ হাজার ৩৬৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। আর ২০১৯ সালে গুলিতে নিহত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৯০।

২০২০ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ বন্দুক সহিংসতা।

চলতি বছরের শুরুতে নাশভিলে স্কুলে বন্দুকধারী হামলা চালায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেনেসির আইনপ্রণেতারা জননিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ একটি অধিবেশন শুরু করেছেন। আর এমন সময়েই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। বিশেষ ওই অধিবেশনে টেনেসির গভর্নর বিল লি বলেছেন, আগ্নেয়াস্ত্র যেন মানুষের হাতে না থাকতে পারে, সে জন্য আইন জোরদার করতে হবে। তবে রিপাবলিকান নেতারা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।

সাউথ ক্যারোলাইনার শিশুবিশেষজ্ঞ অ্যানি অ্যান্ড্রুস বলেন, চিকিৎসক হওয়ার পর তিনি চিন্তাই করতে পারেননি, এত বেশিসংখ্যক বুলেটবিদ্ধ শিশুকে চিকিৎসা দিতে হবে।

অ্যানি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো, দেশজুড়ে প্রতিটি শিশু হাসপাতালেই শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ শিশুর উপস্থিতি আছেই।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে হত্যার শিকার শিশুদের ৬৭ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। আর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আত্মহত্যা করা শিশুদের মধ্যে প্রায় ৭৮ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ।