যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যু: পুলিশের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাঁচজন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী টায়ার নিকোলসকে ৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তারের তিন দিন পর তিনি মারা যান।
নিকোলসের মৃত্যুর ঘটনায় যেসব সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যার’ অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা সবাই কৃষ্ণাঙ্গ।
টেনেসির আইনে ‘দ্বিতীয়–ডিগ্রি হত্যা’কে জেনেশুনে অন্যকে ‘হত্যা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যার জন্য পূর্বপরিকল্পনার প্রয়োজন নেই।
সাবেক পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হলো—জেনেশুনে গুরুতর আক্রমণ, গুরুতর অপরাধজনিত অপহরণ, পেশাগত অসদাচরণ ও নিপীড়ন।
সাবেক পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা হলেন—তাদারিয়াস বেন, ডেমেট্রিয়াস হ্যালি, ডেসমন্ড মিলস জুনিয়র, এমিট মার্টিন তৃতীয় ও জাস্টিন স্মিথ। তাঁরা সবাই কারা হেফাজতে।
পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার সবাই গত ছয় বছরের মধ্যে মেমফিস পুলিশ বিভাগে যোগদান করেছিলেন। নিকোলসকে শারীরিক নির্যাতনের জন্য সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে আসার পর গত সপ্তাহে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।
নিকোলসের আইনজীবীরা বলেছেন, ময়নাতদন্তে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছিল।
নিকোলসের মা রোভন ওয়েলস বলেন, তাঁর ছেলে খুব ভালো মানুষ ছিল। কেউই নিখুঁত নয়, তবে সে নিখুঁতের খুব কাছাকাছি ছিল। তিনি তাঁর ছেলের মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
নগর পুলিশের প্রধান সেরলিন ডেভিস বলেন, এই ঘটনা শুধু একটি পেশাগত ব্যর্থতাই নয়, এটা অন্য ব্যক্তির মৌলিক মানবতার প্রতি অবজ্ঞা।
ঘটনার ভিডিও ক্লিপটি প্রকাশ্যে আসার পর নগর পুলিশের প্রধান জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনসাধারণকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।