একটি পুরোনো আলমারির ভেতরে গোপন কুঠুরি। সেটি খুলতেই মিলল অন্তত সাত দশক আগের একগাদা চিঠি। একজন নৌ সেনা তাঁর প্রেয়সীকে গভীর আবেগ আর ভালোবাসা মিশিয়ে লিখেছিলেন সেসব পত্র। আর প্রেয়সী সেসব চিঠি সযত্নে তুলে রেখেছিলেন গোপন কুঠুরিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। প্রেয়সীদের কাছে একেকটি প্রেমপত্র যে কতটা আবেগের স্মারক, তা এ ঘটনাতেই বোঝা যায়।
আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, পশ্চিমে যা ভ্যালেন্টাইনস ডে নামে পরিচিত। ভালোবাসা দিবসে অন্য উপহারের সঙ্গে আবেগ আর ভালোবাসা মিশিয়ে সঙ্গীকে চিঠি লেখা বা কার্ড পাঠানোর প্রচলন রয়েছে। তবে এ কাজে ভালোই বিড়ম্বনায় পড়েন অনেকে। কথা কিংবা কাগজে নিজের আবেগ সেভাবে প্রকাশ করতে পারেন না তাঁরা।
এই বিড়ম্বনা থেকে ‘মুক্তি’ দিতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সফটওয়্যার চ্যাটজিপিটি। এবারের ভালোবাসা দিবসে অনেক পুরুষই চ্যাটজিপিটি দিয়ে প্রেমপত্র লিখিয়ে নিতে পারেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। দ্য টেলিগ্রাফ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব চিঠি মানুষের নাকি সফটওয়্যারে লেখা, সেটাও নাকি আলাদা করা কঠিন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি এ নিয়ে একটি জরিপ চালায়। এতে অংশ নেওয়া ৪২ শতাংশ পুরুষ ভালোবাসা দিবসে নিজেদের আবেগ ও ভালোবাসার চিঠি লিখতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। আর ৩২ শতাংশ বলেছেন, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তাঁরা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবেন। অবশ্য অলসতার কারণে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন ২০ শতাংশ।
দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশই মানুষের লেখা আর সফটওয়্যারে তৈরি প্রেমপত্র আলাদা করতে পারেননি। আর ১০ শতাংশ স্বীকার করেছেন, সঙ্গী পার্থক্য বুঝতে পারবেন না জেনেই তাঁরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে মনস্থির করেছেন।
অবশ্য জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ পুরুষ ও নারী বলেছেন, যদি জানতে পারেন তাঁকে পাঠানো ভালোবাসা দিবসের চিঠি যন্ত্রে লেখা, তাহলে তাঁরা মর্মাহত কিংবা বিরক্ত হবেন। জরিপে দেখা যায়, যন্ত্রে চিঠি লেখার ব্যাপারে আগ্রহ কম নারীদের। প্রতি পাঁচজনের একজন নারী কেবল চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।