হামাস লাভবান হবে, তাই গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় না যুক্তরাষ্ট্র: মিলার

ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া কয়েকটি বাড়ি। উত্তর গাজা, ২৩ অক্টোবর
ছবি: রয়টার্স

গাজায় এখন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে হামাস উপকৃত হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মানবিক সহায়তার জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে ‘বিশ্রামের সুযোগ দেবে, পুনরায় গুছিয়ে ওঠার সুযোগ দেবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার ক্ষমতা দেবে।’

আরও পড়ুন

ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন কেন এটি ইসরায়েলের জন্য একটি অসহনীয় পরিস্থিতি। এ ধরনের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার শিকার যেকোনো দেশের জন্য একটি অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং যে দেশ তার সীমান্তে অব্যাহত সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে উল্লেখ করে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধি ডেভিড স্যাটারফিল্ড ‘নিবিড়ভাবে’ কাজ করছেন।

এর আগে ইইউ পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল গতকালের শুরুতে বলেছিলেন, তিনি আশা করেছেন যে ইইউ নেতারা মানবিক সহায়তার জন্য যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করবেন।

আরও পড়ুন

লুক্সেমবার্গে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে মানবিক সাহায্যের সুবিধার্থে একটি মানবিক বিরতির ধারণা নেতারা সমর্থন করবেন। তেমন একটি বিরতি বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।’

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর পর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষক।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় ৪৩৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত ১৭ দিনে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ হাজার ৮৭। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫টি বা ৪০ শতাংশই শিশু। আর নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১১৯ নারী।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৩২০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে গতকাল জানায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংস হয়েছে একটি মসজিদসহ বহু স্থাপনা। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে। সেখানে অন্তত ৩০ জনের প্রাণ গেছে। ফলে অন্যান্য দিনের মতো গতকালও গাজার হাসপাতালগুলোয় ছিল আহত মানুষের ঢল আর লাশের সারি।

আরও পড়ুন