বাইডেন-জিলের দীর্ঘ দাম্পত্যের রহস্য জানা গেল নতুন বইয়ে

জো বাইডেন ও জিল বাইডেনফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের স্ত্রী বা ফার্স্ট লেডিদের নিয়ে একটি বই লিখেছেন নিউইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি কেটি রজার্স। চলতি সপ্তাহে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। সেই বইয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনের দাম্পত্যজীবনের নানা দিকও এসেছে।

বইটির নাম ‘আমেরিকান উইমেন—দ্য ট্রান্সফরমেশন অব দ্য মডার্ন ফার্স্ট লেডি, ফ্রম হিলারি ক্লিনটন টু জিল বাইডেন’। সেই বইয়ে দাম্পত্যজীবন নিয়ে জো বাইডেনের একটি মন্তব্য রয়েছে। সেই মন্তব্যে বাইডেন বলেছিলেন, দাম্পত্যজীবন দীর্ঘ হওয়ার মূলে রয়েছে ‘আনন্দময় সহবাস’।

বইয়ের ২৭৬ পৃষ্ঠায় মাত্র কয়েকটি অনুচ্ছেদে সহবাস বিষয়ে আলোকপাত করা হলেও বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে সেই অংশটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে।

কেটি রজার্স লিখেছেন, আলোচনা ছিল ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বাইডেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করেননি। বাইডেনের উপদেষ্টারা জানান, জিল বাইডেন তাঁর পোশাকে বড় করে ‘না’ লিখে কক্ষে ঢোকার পরই বাইডেন জানান, তিনি নির্বাচন করবেন না।

জো বাইডেন তখন তাঁর একদল সমর্থকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য নির্বাচন করা নিয়ে তাঁর তেমন আগ্রহ নেই। বাইডেন বলেন, এর বদলে স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া তাঁর বেশি পছন্দের।

কেটি রজার্স লিখেছেন, বাইডেনের এমন মন্তব্য শুনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেই সময়ে তাঁর একজন মুখপাত্র তাঁকে বলেছিলেন, ‘সিনেটর বাইডেন তাঁর স্ত্রীর ভালোবাসায় পুরো মজে আছেন।’

কেটি রজার্স লিখেছেন, ‘বাইডেন এখন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি ঘরের খবর বাইরের মানুষকে তেমন একটা বলেন না। তবে একবার বাইডেন তাঁর উপদেষ্টাদের ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিলেন, একটি দীর্ঘ ও সুখী দাম্পত্যজীবনের মূলে রয়েছে “আনন্দময় সহবাস”।’

১৯৭৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন জো বাইডেন ও জিল বাইডেন। তবে পঞ্চম দফায় প্রস্তাব দেওয়ার পর জিল বিয়ের ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন। রজার্সের ভাষ্য অনুযায়ী শেষবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় বাইডেন জিলকে বলেন, ‘যত সম্ভব আমি ধৈর্য দেখিয়েছি। কিন্তু একজন আইরিশ হিসেবে এটা আমার সঙ্গে যায় না। হয় রাজি হও, না হয় হয়ো না। আমি যাচ্ছি। আর কখনো জিজ্ঞাসা করব না।’

বইয়ে বাইডেনের প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া ও তাঁদের সন্তান নাওমির মৃত্যুর বিষয়ও এসেছে। ১৯৭২ সালের এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁরা নিহত হন। রজার্স লিখেছেন, এ ঘটনায় মুষড়ে পড়েন বাইডেন।