কুকুরের পেটে ৪০০০ ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের পিটার্সবার্গ শহরের বাসিন্দা ক্লেটন ল ও তাঁর স্ত্রী ক্যারি গত ডিসেম্বরে নিজেদের বাড়িতে সীমানাবেষ্টনী বসাচ্ছিলেন। তো কর্মীরা অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তাঁদের মজুরিটা যেন নগদ অর্থে দেওয়া হয়। তাই ক্লেটন একটি খামে করে ১০০ ও ৫০ ডলারের মোট ৪ হাজার ডলার রান্নাঘরের কাউন্টারে রেখেছিলেন।
আধা ঘণ্টা পর ক্লেটন সেসিলকে খুঁজতে রান্নাঘরে ঢুকেন। সেসিল হচ্ছে তাঁদের ৭ বছর বয়সী গোল্ডেনডুডল কুকুর। কিন্তু এসে দেখেন, সে নগদ সব ডলার খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে।
ক্লেটন কেডিকেএ-টিভিকে বলেন, ‘আমি ওই কক্ষে গিয়ে দেখি, মেঝেতে কিছু ডলারের টুকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেগুলো আবার চিবানো। আর সেসিল দাঁড়িয়ে আছে। কিছু ডলার সে খেয়েও নিয়েছে। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। ক্যারিকে চিৎকার করে ডাকতে শুরু করি। তাকে বলতে থাকি, সে ডলার খেয়ে ফেলেছে, ৪ হাজার ডলার খেয়ে নিয়েছে।’
মেঝেতে পড়ে থাকা ডলারের টুকরাগুলো জড়ো করে দেড় হাজার ডলারের সিরিয়াল নম্বর মেলাতে পেরেছিলেন। যা ব্যাংক থেকে পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট।
ওই দম্পতি জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে সেসিল বমি করলে আরও ১০০ ডলারের নোট বেরিয়ে আসে। আর বাকি অর্থের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ক্যারি ল বলেন, ‘রান্নাঘরের কাউন্টারে কোনো কিছুতে সেসিল কোনো দিন মুখ দেয়নি, এমনকি কফি টেবিলেও নয়। আমরা খাবার রেখে গেলেও সে কোনো দিন মুখও দিত না। কখনো ভাবিনি, আমি অর্থ পরিষ্কার করেছি—এমন কথা বলতে পারব।’
শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতি ৩ হাজার ৫৫০ ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
ওই দম্পতি বলছেন, বাকি অর্থ ফিরে পাওয়ার আশায় তাঁরা মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করবেন। আর যদি তা না-ও হয়, তাহলেও তাঁদের জীবনে এক মজার গল্প হবে এটি, যা তাঁরা তাঁদের ছেলেকে একদিন শোনাতে পারবেন।
ক্যারি বলেন, ‘এই ঘটনা স্মরণীয় করে রাখতে আমরা অন্তত ছেঁড়া ডলারের একটি টুকরা চিত্রকর্ম হিসেবে বাঁধাই করে রাখব।’
নগদ ডলার খাওয়ার পরও নিজেদের আদরের এই কুকুরের ওপর রাগ হয়নি ক্যারির। তিনি বলেন, ‘লোকজন প্রায়ই বলেন, আমাদের এই কুকুরের ভেতরে একটি মানুষ আছে।’