নিউইয়র্কে ৭৩ স্ট্রিটের নাম এখন ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’

বাংলাদেশ স্ট্রিট নামে সড়কটিতে নতুন নামফলক বসানো হয়েছে। রোববার, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর জ্যাকসন হাইটস এলাকার ৭৩ স্ট্রিটের নাম বদলে ফেলা হয়েছে। এখন থেকে সড়কটি ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে পরিচিত হবে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই সড়কের নতুন নাম রাখা হয়।

সড়কটির নতুন নামকরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক শ অভিবাসী বাংলাদেশি যোগ দেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কুইন্স বরোর ২৫ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল মেম্বার ও নিউইয়র্ক শহরের সড়ক নামকরণ কমিটির চেয়ারম্যান শেখর কৃষ্ণান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখর কৃষ্ণান বলেন, ‘বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে বাংলাদেশিরা কতটা ত্যাগ স্বীকার ও সংগ্রাম করেছে, তা আমরা জানি। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যারা নিজেদের ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভাষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিরা আমেরিকাতেও এক বিশাল জনসমাজ গড়ে তুলেছে।

জ্যাকসন হাইটস এলাকার ৭৩ স্ট্রিটের নাম বাংলাদেশ স্ট্রিট রাখার পর স্থানীয় বাংলাদেশিদের উল্লাস। রোববার, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে
ছবি: সংগৃহীত

অবদান রাখছে আমেরিকার প্রশাসন, নিরাপত্তা, যানবাহন, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে। দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশিদের প্রতি সম্মান জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।’

আইনপ্রণেতা গ্রেস মেং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে সুপরিচিত হয়ে উঠছে বাংলাদেশিরা। তাঁরা কৃষি, শিক্ষা ও হোম কেয়ার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পদে আমেরিকার উন্নয়ন করছেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিনেটর মাইকেল জিনারিজ, কংগ্রেস সদস্য স্টিভেন রেগা, ক্যাটলিনা ক্রুস, জেসিকা গুঞ্জলেস রোজাস, সিটি কাউন্সিলর লিন্ডা লি প্রমুখ।

জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট করার প্রস্তাব আসে ২০২১ সালের সিটি কাউন্সিল নির্বাচনের সময়। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান এক মেলায় প্রথম এ দাবি তোলেন।

ওই সময় জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান পদপ্রার্থী শেখর কৃষ্ণান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হতে পারলে অভিবাসী বাংলাদেশিদের এই দাবি তিনি পূরণ করবেন। এখন তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন।

এই বিষয়ে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান বলেন, ‘নিউইয়র্ক শহরের একটি সড়কের নাম বাংলাদেশের নামে, ভাবতেই গর্ব হয়। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। আর আমরা নতুন প্রজন্ম বিশ্বের বুকে সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

এর আগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি–অধ্যুষিত জ্যামাইকায় একটি সড়কের নাম ‘বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ’ রাখা হয়েছে। ব্রঙ্কসের স্টালিং অ্যাভিনিউয়ের নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘বাংলা বাজার অ্যাভিনিউ’।