কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘পারমাণবিক বোমা’ বললেন ওয়ারেন বাফেট
চ্যাটজিপিটির মতো অ্যাপের জনপ্রিয়তার কারণে এ বছর আলোচিত শব্দ হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবটগুলো নানা কাজে লাগছে। তবে এর অপব্যবহার নিয়ে ভীতিও ছড়িয়েছে।
লাখো মানুষের চাকরি কেড়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন উদ্বেগ সামনে আসতে শুরু করছে। ইলন মাস্কের মতো প্রযুক্তি উদ্যোক্তারাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আওয়াজ তুলেছেন। এখন বিনিয়োগকারী ও বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাঁর ভীতির কথা জানালেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ওমাহাতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ওয়ারেন বাফেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পারমাণবিক বোমা তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি এ প্রযুক্তি সামনে আনার আগে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। নিউইয়র্ক পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়ারেন বাফেটের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরেক কোটিপতি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বিল গেটস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উন্নয়নের পক্ষে কথা বলে থাকেন। তিনি ওয়ারেন বাফেটকে সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি কী করতে পারে, তা দেখিয়েছিলেন। তবে ওয়ারেন বাফেট বলেন, তিনি এ প্রযুক্তি নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত।
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শার্লি মুংগেরের সঙ্গে আলোচনায় ৯২ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘যখন কোনো প্রযুক্তি সব ধরনের জিনিস করতে পারে, আমি একটু চিন্তিত হই। কারণ, আমরা জানি, এটাকে আমরা আর উদ্ভাবনপূর্ব অবস্থানে ফেরাতে পারব না। আপনারা জানেন, আমরা ভালো উদ্দেশ্য থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেছিলাম।’
ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘তিনি মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্বের সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলবে। তবে মানুষ যেভাবে চিন্তা করে বা আচরণ করে, তা বদলাতে পারবে না।’
বাফেটের মতোই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান শার্লি মুংগের। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা নিয়ে যে হইচই হচ্ছে, তাতে তাঁর উদ্বেগ জন্মেছে। তাঁর মতে, পুরোনো জামানার বুদ্ধিমত্তা ভালো কাজ করছে।
সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়ে মানুষের জন্য আরও জরুরি হুমকি হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।