সমুদ্রতলে চলছে সশস্ত্র ড্রোন

সমুদ্রে যুদ্ধের নতুন অস্ত্র হয়ে উঠছে ড্রোনছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই জোরালো হচ্ছে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের নতুন অস্ত্র হয়ে উঠেছে ড্রোন। তবে সেই ড্রোনও এখন আর শুধু উড়ছেই না; রণতরি, যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজের পাশাপাশি সমুদ্রতলেও মোতায়েন করা যাচ্ছে। গোস্ট শার্ক ও মান্টা রে নামের এমন দুটি ড্রোন সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

এসব ড্রোনকে বলা হচ্ছে আনক্রুড আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল বা ইউইউভি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে সমুদ্রে যুদ্ধ কীভাবে হবে, এসব ড্রোন সেই বার্তাই দিচ্ছে। এসব ড্রোনের মাধ্যমে একই সঙ্গে যেমন প্রতিরক্ষা–সক্ষমতা বাড়বে, তেমনি হামলা চালালে মানুষ হতাহত হবে কম।

আকাশযানের মতো করে ড্রোনের ব্যবহার এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে ইরাক ও আফগানিস্তানে আকাশপথে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও এসব ড্রোন হয়ে উঠেছে দুই পক্ষেরই তুরুপের তাস। এমনকি মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও ব্যাপকহারে ড্রোন ব্যবহার করছে। কিন্ত পানির নিচে ড্রোনের ব্যবহার এখনো নতুন।

আকাশযানের মতো সামুদ্রিক ড্রোনও কৃত্রিম উপগ্রহ ও বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্ত সমুদ্রের গভীরে গেলে আকাশযান হিসেবে ব্যবহৃত ড্রোনের সঙ্গে সামুদ্রিক ড্রোনের পার্থক্য আছে।

গত মাসে অস্ট্রেলিয়া যখন গোস্ট শার্ক প্রকাশ্যে আনে, তখন দাবি করা হয়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক সামুদ্রিক ড্রোন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, সবার অগোচরে এবং অনেক দূরে সমুদ্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নৌবাহিনীকে বড় ধরনের সাহায্য করবে এই সামুদ্রিক ড্রোন। এই ড্রোন নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি হামলা চালাতেও সক্ষম।

মান্টা রে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ড্রোনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোডাক্টস এজেন্সি। সংস্থাটি জানিয়েছে, মান্টা রের বিশেষত্ব হলো এটি প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের অস্ত্র বহনে সক্ষম। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ আলাদা করে নেওয়া যায়। এতে করে যেকোনো স্থানে এটি মোতায়েন করা সম্ভব। তবে যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও প্রশান্ত মহাসাগরে ইউইউভি মোতায়েন করেছে।