মার্কিন কংগ্রেসের নতুন স্পিকার ট্রাম্প–সমর্থক জনসন

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের আসনে মাইক জনসন
ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান ঘটল। অবশেষে নতুন একজন স্পিকার পেল মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে কংগ্রেসের ৫৬তম স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান মাইক জনসন।

মাইক জনসন ২২০-২০৯ ভোটে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেসে বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতাদের ভোটেই স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন অভিজ্ঞতা নেই জনসনের।

বাইডেন সরকারকে অর্থায়ন করা নিয়ে নিজ দলের বিদ্রোহের মুখে ৩ অক্টোবর স্পিকারের পদ থেকে অপসারিত হন রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি অপসারিত হওয়া প্রথম মার্কিন স্পিকার। এরপর তিন সপ্তাহের বেশি স্পিকার না থাকায় কংগ্রেসের নিয়মিত কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল।

কয়েকজন রিপাবলিকানের বিদ্রোহে স্পিকারের পদ হারান ম্যাকার্থি। বিদ্রোহী দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কট্টরপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাট গেৎজ। ম্যাকার্থিকে অপসারণে ২ অক্টোবর প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। প্রস্তাবটি ২১৬-২০৮ ভোটে পাস হয়। প্রতিনিধি পরিষদে ২২১-২১২ ব্যবধানে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

ম্যাকার্থি অপসারিত হওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহে স্পিকার হিসেবে তিনজনকে মনোনীত করেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। তবে তিনজনই নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হন। অবশেষে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক ও কম অভিজ্ঞ মাইক জনসন স্পিকার নির্বাচিত হলেন।  

বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক দশকে সবচেয়ে কম অভিজ্ঞ স্পিকার ৫১ বছর বয়সী জনসন। ২০১৬ সালে প্রথমবার প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বদলাতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেও ব্যর্থ ১২৬ কংগ্রেসম্যানের একজন তিনি।