লস অ্যাঞ্জেলেসে বিজয় দিবস শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন ১৪ ডিসেম্বর
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৪ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। স্বাধীনতার ৫৫তম বিজয় দিবস এবং ‘লিটল বাংলাদেশ’ ঘোষণার ১৫ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন হতে যাচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের থার্ড স্ট্রিট থেকে আলেকজান্দ্রিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত দুপুর থেকে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি কর্তৃপক্ষ এর জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। সিটির কাউন্সিলউইম্যান হেদার হাট প্যারেড মার্শাল হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। লস অ্যাঞ্জেলেস কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বলে আয়োজক কমিটি নিশ্চিত করেছে।
‘লিটল বাংলাদেশ’ এলাকা সড়ক বন্ধ রেখে শোভাযাত্রা পরিচালনা করা হবে। আয়োজক কমিটির তথ্য অনুসারে, শতাধিক গাড়ি লাল-সবুজ সাজসজ্জা, ব্যানার ও দেশাত্মবোধক গান প্রচারের মাধ্যমে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিবার, শিশু, কিশোর ও প্রবীণেরা শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন এবং পথের দুই পাশে অবস্থান করে অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
শোভাযাত্রার আয়োজন ও প্রস্তুতি কয়েক মাস ধরে পরিচালনা করছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘বাংলার বিজয় বহর’ কমিটি। কমিটি দুটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার কাঠামো ঠিক করেছে। কমিটির সভাপতি ড. জয়নাল আবেদিন, আহ্বায়ক মিখাইল খান, চেয়ারম্যান এম আবদুল বাসিত, বোর্ড চেয়ার মজিব সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক এম ওয়াহিদ রহমান কার্যক্রম তদারক করছেন। তাঁরা জানান, আয়োজনের পরিকল্পনায় কমিউনিটির অভিজ্ঞদের পরামর্শও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ড. জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন, ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন করা হচ্ছে। প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশি কমিউনিটি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে।
শোভাযাত্রার পর বিকেল চারটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস পরিবেশনায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া আবৃত্তি, নৃত্য ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হবে। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও নৃত্য ও নাট্যের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করবেন।
আয়োজকদের মতে, এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। শতাধিক গাড়ির শোভাযাত্রা ও নির্ধারিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবারের ‘বাংলার বিজয় বহর’ আয়োজনের মূল অংশ।