বড় কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই আজ চীন যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী

জ্যানেট ইয়েলেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

সম্পর্ক উন্নয়নে সম্প্রতি চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কিন্তু এতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং এই সফরের পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিং পিংকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরূপ মন্তব্যের জেরে সম্পর্কে ফাটল সামনে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তবে এ সফরে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বড় কোনো অগ্রগতি হবে, এটা প্রত্যাশা করছেন না মার্কিন কর্মকর্তারা।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে তথ্য–আদান প্রদান বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সেমিকন্ডাটর তৈরি করা হয়, এমন সব ধাতব পদার্থ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে আবারও নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হতে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জ্যানেট ইয়েলেন চীন সফর করছেন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা আশা করছেন, এ সফরে খোলামেলা আলোচনা হবে।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এ সফর নিয়ে বড় কোনো প্রত্যাশা রাখছেন না। তাঁরা আশা করছেন, সামরিক যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আলোচনা হবে এবং কাজ করার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।

এদিকে চীন যেমন ধাতব পদার্থ রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও ভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানে চীনের বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন।

তবে অন্য কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কূটনীতির কোনো বিকল্প নেই। মন্ত্রীর এ সফর ও টেলিফোনে কথা বলা এক জিনিস নয়।

মার্কিন অর্থমন্ত্রীর এ সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছনে চীনের ফুদান ইউভার্সিটির অধ্যাপক উ সিনবো। তাঁর মতে, চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং চীনের পণ্যের ওপর যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার একটি পথ তৈরি হতে পারে।

দুই দেশের অর্থনীতি নিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রীর সফরে আলোচনা হতে পরে। তবে একই সঙ্গে রাশিয়াকে চীন যাতে অস্ত্র না দেয়, সে বিষয় এ আলোচনায় উঠে আসবে বলে মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।