পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস করা জ্যাক টাশেরা দোষী সাব্যস্ত, ১৭ বছর দণ্ড হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গোপনীয় গোয়েন্দা নথি ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার জ্যাক টাশেরাকে গতকাল সোমবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁকে প্রায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
প্রসিকিউটরদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন টাশেরা। এর আওতায় তিনি দোষ স্বীকার করেছেন। যদিও আগে থেকে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সরকারি কৌঁসুলিরা টাশেরার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির আর গুরুতর কোনো অভিযোগ আনবেন না।
টাশেরার বয়স মাত্র ২১ বছর। তিনি ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের একজন আইটি বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
টাশেরার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই জাতীয় প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গোপন তথ্য হস্তগত ও স্থানান্তর এবং তথ্য নিজের কাছে রাখা ও সরানোর অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু নথিও ছিল।
টাশেরা গুপ্তচরবৃত্তি আইনের মুখোমুখি হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারত।
গতকাল কারাগারের পোশাকে ফেডারেল আদালতে হাজির করা হয় টাশেরাকে। প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গোপনীয় গোয়েন্দা তথ্য অপব্যবহারের ছয়টি অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এসব অভিযোগে চুক্তি অনুযায়ী, আদালত টাশেরাকে ১৬ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দিতে পারেন। সেই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি ফাঁস হওয়া তথ্যের পরিমাণ ও প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে গোয়েন্দাদের সহায়তা করতে হবে টাশেরাকে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন টাশেরা। তখন টিভি চ্যানেলে তাঁর গ্রেপ্তারের নাটকীয়তা সরাসরি দেখানো হয়েছিল।
অনলাইন গেমের একটি চ্যাটরুমে গোপন নথি প্রকাশ করেছিলেন টাশেরা। ফাঁস হওয়া এসব গোপন মার্কিন গোয়েন্দা নথিতে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু ও মিত্রদেশ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্যও এসব নথিতে রয়েছে।