তাইওয়ান বিষয়ে আপস নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় চীন

  • তাইওয়ানকে সামরিকভাবে সুসজ্জিত না করতে চীনের উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান বেইজিংয়ের।

  • চীন সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা
ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানের বিষয়ে কখনোই আপস করা হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে চীন। ২০২১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সামরিক আলোচনা বন্ধ ছিল। এ বছর দুই দেশের মধ্যে আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে। আলোচনার শুরুতেই তাইওয়ানকে সামরিকভাবে সুসজ্জিত না করতে ও চীনের উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।

তাইওয়ানে আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগেই দ্বীপটি নিয়ে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দুই দেশের এ আলোচনা বেইজিংয়ের কাছ থেকে তাদের দূরে ঠেলে দিতে বা কাছাকাছি আনতে পারে। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখে চীন। তবে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলে মনে করে।

আগামী শনিবার তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এমন সময় চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুস্থ ও স্থিতিশীল সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছুক।

চীন আরও বলেছে, চীনের উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে ওয়াশিংটনকে। তাইওয়ান প্রশ্নে বেইজিং কোনো আপস করবে না। তাদের চাওয়া চীনের ‘ওয়ান চায়না’ নীতি, এ–সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিকে সম্মান দেখাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করবে না।

এশিয়া অঞ্চলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে তাইওয়ান। ২০২২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সে সময়কার হাউস স্পিকার ন্যানসি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক চিড় ধরে। এ ঘটনার প্রতিবাদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক আলোচনা চালিয়ে যেতে অসম্মতি জানায়। গত নভেম্বরে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক চুক্তির পর এ সপ্তাহে দুই দেশের সামরিক আলোচনা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার দুই দেশের দুই দিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।

এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে তাইওয়ান বলেছে, গত মঙ্গলবার চীন যে তাইওয়ানের আকাশসীমায় কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে, একে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। মঙ্গলবারের ওই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরপরই তাইওয়ানের জনগণ মুঠোফোনে একটি সতর্কবার্তা পান।

তাতে জনগণকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পরে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই বার্তা সঠিক নয় বলে দুঃখ প্রকাশ করে। চীনের গণমাধ্যমে বলা হয়, দেশটি থেকে আইনস্টাইন প্রোব নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এটি রহস্যময় ক্ষণস্থায়ী ঘটনা পর্যবেক্ষণে কাজ করবে।