হিটলারের ‘মাইন ক্যাম্ফ’ পড়িনি: ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইওয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ১৯ ডিসেম্বরছবি: এএফপি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কখনো জার্মানির নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বই ‘মাইন ক্যাম্ফ’ পড়েননি।

অভিবাসীদের আক্রমণের জন্য ট্রাম্প তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ট্রাম্পের অভিবাসীদের আক্রমণের এই দিক হিটলারের নাৎসি দর্শনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন কেউ কেউ।

সমালোচনা সত্ত্বেও দমছেন না ট্রাম্প। তিনি বরং তাঁর অভিবাসীবিরোধী জ্বালাময়ী বক্তৃতা দ্বিগুণ করেছেন।

সবশেষ গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, এটা সত্য যে তারা (অভিবাসীরা) তাঁদের দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) রক্তকে দূষিত করছে। এটাই তারা করছে। তারা (অভিবাসী) তাঁদের দেশকে (যুক্তরাষ্ট্র) ধ্বংস করছে।

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প গত সপ্তাহান্তে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মন্তব্য সমালোচনার ঝড় তোলে।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে (ট্রাম্প) ফ্যাসিস্ট ও সহিংস শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করার জন্য অভিযুক্ত করেন।

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার এই দুজন মুখোমুখি হতে পারেন।

ট্রাম্প তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘কীট’ হিসেবে অভিহিত করায় তাঁকে হিটলারের কথার প্রতিধ্বনির জন্য গত মাসে অভিযুক্ত করেছিলেন বাইডেন।

ট্রাম্প অবশ্য হিটলারের সঙ্গে তাঁকে মেলানোর বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে প্রত্যাখ্যান করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই মাইন ক্যাম্ফ পড়িনি।’

ট্রাম্প বলেন, নাৎসি নেতা হিটলার এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন অনেক ভিন্নভাবে।

ট্রাম্পের এসব বক্তৃতা রিপাবলিকান দলের নেতাদের অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছে। শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল প্রকাশ্যে ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন।

ট্রাম্প তাঁর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে ২০১৫ সালে বলেছিলেন, মেক্সিকো থেকে অপরাধী ও ধর্ষক প্রবেশ করছে যুক্তরাষ্ট্রে। পরে তিনি অভিবাসী ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বিশাল প্রাচীর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও এই সীমান্তে শত শত কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী আসা বেড়েই চলছে।