২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

খাবারের জন্য নারীকে ঘরছাড়া করল রাকুন

রাকুনছবি: রয়টার্স

দখলদার কিংবা দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্যে ঘরছাড়া হওয়ার খবর হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু কোনো প্রাণীর কারণে ঘর ছাড়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। এবার তেমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে। ওই অঙ্গরাজ্যের পলসবো শহরের এক নারী একদল রাকুনের কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

ওই নারী পলসবোর শহরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন, কয়েক দশক আগে একদিন বনের ভেতর থেকে বাড়ির আঙিনায় ঢুকে পড়া একটি রাকুন পরিবারকে খাবার দেন তিনি। এর পর থেকে প্রতিদিনই আসত ওই রাকুনগুলো।

শুরুর দিকে সেগুলোকে নিরাপদ মনে হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বাড়ির আঙিনায় দিন দিন বাড়তে থাকে রাকুনের সংখ্যা, অল্প কয়েকটি থেকে দাঁড়ায় কয়েক ডজনে। ক্রমেই বাড়তে থাকে খাবারের চাহিদা। আর তা না পেলে শুরু হয় নানা ধরনের জ্বালাতন।  

কিটসাপ কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের মুখপাত্র কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, খাবারের জন্য আসা রাকুনগুলোর কোনো কোনোটি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। শেরিফের কার্যালয়ের ফুটেজে দেখা গেছে, ওই নারীর বাড়ির বাইরে গাছের আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করছে ৫০ থেকে ১০০টি রাকুন।

শেরিফের মুখপাত্র বলেন, ওই ভুক্তভোগী নারী বলেছেন, রাকুনগুলো দিন দিন আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিল। তাদের খাবারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। ঘরে-দুয়ারে এবং গাড়িতে আঁচড় কেটে দিন-রাত রাকুনগুলো তাঁকে জ্বালিয়ে অতিষ্ঠ করে তুলছিল। বাড়ির সামনে গাড়ি থামালে রাকুনগুলো গাড়িটি ঘিরে ধরে আঁচড় কাটতে শুরু করত।

শেরিফের মুখপাত্র বলেন, বাড়ির সামনের দরজা থেকে গাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার পথে এবং বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলেই ওই নারীকে ঘিরে ধরত।

ওয়াশিংটনের মৎস্য ও বন্য প্রাণী বিভাগের মুখপাত্র ব্রিগেট মায়ার বলেন, মাংসখেকো প্রাণীকে খাবার দেওয়া বেআইনি। কোনো কোনো এলাকায় অন্যান্য বন্য প্রাণীকে খাওয়ানোও আইনসম্মত নয়। তিনি আরও বলেন, রাকুন রোগবালাই ছড়াতে পারে। তা ছাড়া তাদের খাবার দিলে অন্যান্য বিপজ্জনক প্রাণীও খাবারের লোভে চলে আসতে পারে।

রাকুনগুলোকে এখন আর খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রিগেট মায়ার। এ কারণে তারা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে।