কয়েদিকে ‘জীবিত খেল’ পোকামাকড়–ছারপোকা

মনোরোগ ওয়ার্ডের এ কক্ষে লাশন থম্পসনকে রাখা হয়েছিল
ছবি: সংগৃহীত

ছোটখাটো অপরাধের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লাশন থম্পসনের কারাদণ্ড হয়েছিল। বিচারক মানসিক অসুস্থ বিবেচনা করায় আটলান্টার ফুলটন কাউন্টি কারাগারের মনোরোগ সেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কারাকক্ষে নির্মম মৃত্যু হয়েছে থম্পসনের। পোকামাকড় ও ছারপোকা তাঁকে ‘জীবিত খেয়ে ফেলেছিল’। থম্পসনের পারিবারিক আইনজীবী এ অভিযোগ করেছেন।

থম্পসনের পারিবারিক আইনজীবী মাইকেল ডি হারপার কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা যায়, ছারপোকায় খাওয়া থম্পসনের ক্ষতবিক্ষত শরীর। এ ঘটনার ফৌজদারি তদন্ত দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী। মামলা দায়েরের বিষয়টি বিবেচনাধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে হারপার বলেন, পোকামাকড় ও ছারপোকা জীবিত খেয়ে ফেলার পর কারাগারের নোংরা একটি কক্ষে থম্পসনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। থম্পসনকে কারাগারের যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, তা কোনো অসুস্থ জীবের জন্য উপযুক্ত নয়। এমন পরিণতি তাঁর প্রাপ্য ছিল না।

ইউএসএ টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুলটন কাউন্টির মেডিকেল নিরীক্ষকের রিপোর্টে বলা হয়, গ্রেপ্তারের তিন মাস পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর থম্পসনকে তাঁর কারাকক্ষে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। চিকিৎসকেরা তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির মিডিয়া পার্টনার সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, থম্পসনের অবস্থার অবনতি হতে দেখেও কারা কর্মকর্তা ও চিকিৎসাকর্মীরা তাঁকে সহযোগিতা করা বা অন্যভাবে সাহায্য করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে কারা নথিতে বলা হয়।

মেডিকেল নিরীক্ষকের রিপোর্টে বলা হয়, মনোরোগ ওয়ার্ডে থম্পসনের কারাকক্ষে ‘ছারপোকার মারাত্মক উপদ্রব ছিল’। তবে থম্পসনের শরীরে আঘাতের কোনো স্পষ্ট চিহ্ন নেই বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।