বিমানবন্দরে ‘চাঁদের টুকরা’

পোর্টল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেই ‘চাঁদের টুকরা’ছবি: বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে

বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেওয়া যায় দেশ-দেশান্তরে। চাঁদে কি যাওয়া যায়? সহজ কথায়, না।

তবে ভিন্ন এক উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে ‘আমাকে চাঁদে নিয়ে চলুন’ নামে চলছে এক প্রদর্শনী। যদিও নাম অনুযায়ী ওই প্রদর্শনী থেকে চাঁদে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে না। শুধু দেখা যাবে চাঁদ থেকে আনা একটি পাথরের টুকরা।

পোর্টল্যান্ড বিমানবন্দরে প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে গত ২৬ মার্চ। সেখানে চাঁদের পাথরের খণ্ডটি আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেইন মিনারেল অ্যান্ড জেম মিউজিয়াম বা এমএমজিএম থেকে। পৃথিবীতে থাকা চাঁদের দ্বিতীয় বৃহত্তম খণ্ড সেটি। বিমানবন্দরে খণ্ডটি প্রদর্শন করা হবে আগামী পাঁচ বছর।

চাঁদের পাথরের টুকরাটি প্রদর্শনীতে আনতে পেরে উচ্ছ্বসিত পোর্টল্যান্ড বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের পরিচালক পল ব্রাডবেরি কথায়, ‘“আমাকে চাঁদে নিয়ে চলুন” প্রদর্শনীটি করতে পেরে আমাদের খুবই ভালো লাগছে।’

পোর্টল্যান্ড বিমানবন্দরে চাঁদের পাথরের খণ্ডটি প্রদর্শনের জন্য সংগ্রহ করে দিয়েছেন ড্যারিল পিট নামের এক ব্যক্তি। তিনিও প্রদর্শনীটি নিয়ে বেশ খুশি। তাঁর মতে, এমএমজিএমে অমূল্য জিনিসপত্রের যে ভান্ডার রয়েছে, তা মানুষের সামনে তুলে ধরার অসাধারণ একটি স্থান হচ্ছে এই বিমানবন্দর।

এদিকে ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। মেইন সেগুলোর মধ্যে একটি। বিষয়টিকে ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে ড্যারিল পিট বলেন, ‘এই সূর্যগ্রহণ এমন সময় হচ্ছে, যখন চাঁদের টুকরাটি মেইনে রয়েছে। মেইন মানে এখন শুধু বড় বড় চিংড়ি নয়, এখানে চাঁদও রয়েছে।’

চাঁদের এই পাথরখণ্ডটির একটি নাম রয়েছে, ‘দ্য স্ক্রিম’। এর অর্থ চিৎকার। আসলে খণ্ডটিতে তিনটি গোলাকার গর্ত রয়েছে। সেগুলো দেখলে মনে হয় যেন সেটি চিৎকার করছে। ড্যারিল পিট বলেন, খণ্ডটি বিমানবন্দরে আসা লোকজনকে আকর্ষণ করবে। এর মাধ্যমে তাঁরা এমন কিছু দেখতে পাবেন, যা বিশ্বের অন্য কোনো বিমানবন্দরে মিলবে না।