যুক্তরাষ্ট্রে ছয় ‘দোদুল্যমান’ রাজ্যে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে ট্রাম্প

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি: রয়টার্স

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় ছয়টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে (ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেট) এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ট্রাম্প ছয়টি অঙ্গরাজ্যে ২ থেকে ৮ শতাংশ পয়েন্টে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন। এ অঙ্গরাজ্যগুলো হলো পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা ও নর্থ ক্যারোলাইনা। জরিপের এসব অঙ্গরাজ্যে প্রার্থী হিসেবে তৃতীয় পক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের রাখা হয়। এ ছাড়া শুধু বাইডেন ও ট্রাম্পকে রেখে করা জরিপেও একই রকম ফল দেখা গেছে।

উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। একাধিক প্রার্থীকে নিয়ে করা জরিপে এ অঙ্গরাজ্যে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। আর বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে লড়াইয়ে দুজনের সমর্থন কাছাকাছি।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রচারশিবিরকে দেশটির অর্থনীতি নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর জরিপে দেখা গেছে, বাইডেনের ইতিবাচক কাজগুলোর চেয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ৪টি অঙ্গরাজ্যে ২০ পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়তে দেখা গেছে। অথচ ট্রাম্পের প্রতি সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের মধ্যে কেবল অ্যারিজোনায় তাঁর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থতার দিক থেকে ৪৮ শতাংশ ট্রাম্পের প্রতি রায় দিয়েছেন। সে তুলনায় মাত্র ২৮ শতাংশ বাইডেনকে সমর্থন করেছেন। গত মার্চ মাসের ১৭ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে সাতটি অঙ্গরাজ্যে প্রতিটি থেকে ৬০০ জন করে ভোটার নিয়ে ৪ হাজার ২০০ জনের মধ্যে এ জরিপ করা হয়।

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার দুই নেতার মধ্যে এ কথোপকথন হয়েছে বলে দুটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। তবে দুজন কী নিয়ে কথা বলেছেন, সে বিষয়টি এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভানের সৌদি আরব সফরের কথা ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তিনি সফর বাতিল করেন। সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সুলিভান সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে যুবরাজের আলোচনার বিষয়বস্তু জানানো হয়নি।

২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন, তখন তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর হিসেবে প্রথম গন্তব্য ছিল সৌদি আরব।