স্কট ক্রেইকসের হীরা ও নিবন্ধন কার্ডের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ক্রেইকস নাতির নামে তাঁর হীরাটির নাম দিয়েছেন লিও
ছবি: টুইটার

যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের ডায়মন্ড স্টেট পার্কে চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি হীরার খোঁজ পেয়ে দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে চলতি বছরে ওই পার্কে ৫০তম হীরার খোঁজ পেলেন স্কট ক্রেইকস। আরকানসাসের ডিয়ের্কসের এই বাসিন্দার হাত ধরে ওই পার্কে ৩৫ হাজারতম হীরার খোঁজ মিলল।

আরকানসাস স্টেট পার্কের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত চার বছর আরকানসাসের মুরফ্রিসবোরোর ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট পার্কে খুঁজে পাওয়া ৮০টির বেশি হীরার নিবন্ধন করেছেন ক্রেইকস। এর মধ্যে ৫০টি পেয়েছেন চলতি বছর।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ক্রেইকস হীরা সন্ধানের এলাকায় ময়লা ছেঁকে নুড়িপাথর আলাদা করেন এবং কিছু পাথর পরে আরও ভালোভাবে খুঁজে দেখতে বাড়িতে নিয়ে যান।

বিবৃতিতে বলা হয়, পার্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী পাঁচ গ্যালন পরিমাণের এক বালতি ছেঁকে নেওয়া পাথর প্রতিদিন বাসায় নিতে পারেন দর্শনার্থীরা।

এতে বলা হয়, বাসায় এসব পাথর থেকে ছোট একটি হীরা খুঁজে পান ক্রেইকস। ৬ সেপ্টেম্বর তিনি হীরাটি পার্কের ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে নিয়ে যান আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করাতে।

আরও পড়ুন

যে হীরা দীর্ঘদিন পড়ে ছিল পেপারওয়েট হিসেবে

পার্কের কর্মীরা চার পয়েন্ট ওজনের হীরাটি নিবন্ধন করেন। যদি কোনো হীরার ওজন এক ক্যারেটের কম হয়, তখন পয়েন্টে মাপা হয়। ১০০ পয়েন্টে হয় এক ক্যারেট।

পার্কের কর্মীরা আরও জানান, ১৯৭২ সালে জনসাধারণের জন্য ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট পার্ক খুলে দেওয়া হয়। এরপর ক্রেইকসের পাওয়া সর্বশেষ হীরাটি পার্কের ৩৫ হাজারতম হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, খবরটি শুনে ক্রেইকস চমকে যান বলে পার্কের কর্মীদের জানিয়েছেন।

এ অর্জনের জন্য ক্রেইকস বিনা খরচে আরকানসাস স্টেট পার্কে দুই রাত কাটানোর সুযোগ পান। তাঁর হীরা ও নিবন্ধন কার্ডের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। ক্রেইকস নাতির নামে তাঁর হীরাটির নাম দিয়েছেন লিও।

আরও পড়ুন

২৬০ কোটি বছরের হীরা

আরকানসাস স্টেট পার্কের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট পার্ক বিশ্বের একমাত্র জায়গা, যেখানে জনসাধারণ আসল আগ্নেয়গিরির উৎস থেকে প্রকৃত হীরা খুঁজতে পারেন।

এ পার্ক আগ্নেয়গিরির গর্তের ক্ষয়প্রাপ্ত পৃষ্ঠ। পার্কের দর্শনার্থীরা ৩৭ একরের এ মাঠে বিভিন্ন ধরনের শিলা, খনিজ ও রত্নপাথর অনুসন্ধান করে থাকেন। কেউ যদি কোনো শিলা বা খনিজ খুঁজে পান, সেটা তিনি নিজের কাছে রাখতে পারেন।