কাতারের ঘাঁটিতে আরও ১০ বছর মার্কিন সেনা রাখতে ‘সমঝোতা’

কাতারের আল উদিদ বিমানঘাঁটি,ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে আরও ১০ বছরের জন্য সামরিক উপস্থিতির মেয়াদ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র বলেছে, ঘাঁটিটির নাম আল উদিদ বিমানঘাঁটি। দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মরুভূমিতে এর অবস্থান। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যতগুলো সামরিক ঘাঁটি আছে, তার মধ্যে এ ঘাঁটি সবচেয়ে বড়।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি নিয়ে প্রথম সিএনএনে খবর প্রকাশিত হয়। এ ব্যাপারে গতকাল মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্য আলোচনায় মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

হামাসের হাতে জিম্মি থাকা মানুষদের মুক্তি এবং উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য সহায়তা বাড়াতে গত ৭ অক্টোবর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিয়মিত কাতারের আমিরের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছেন।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

কাতারে হামাসের উপস্থিতির কারণে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের কেউ কেউ কাতারের সমালোচনা করে থাকেন। ১৬ অক্টোবর ১১৩ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা বাইডেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে তাঁরা লিখেছেন, কাতারসহ যেসব দেশ হামাসকে সমর্থন দেয়, সেগুলোকে যেন বাইডেন চাপ দেন।

ন্যাটো জোটের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, তার একটি কাতার। ন্যাটোবহির্ভূত এসব মিত্রদেশের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কৌশলগত কাজের সম্পর্ক আছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করার পর থেকে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার ক্ষেত্রেও কাতার একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে।