একাকিত্ব বেশি যুক্তরাষ্ট্রে

একাকিত্ব স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। গবেষকেরা দেখেছেন যে একাকিত্ব ধূমপানের মতোই বিপজ্জনক। একাকিত্ব অসুস্থতা, বিষণ্নতা ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। কারা বেশি একাকিত্বে ভোগেন, এ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, ইউরোপবাসীর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবয়সীরা বেশি একাকিত্বে ভোগেন।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছেন ‘আমেরিকান সাইকোলজিস্ট’ সাময়িকীতে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি প্রবণতা যা একাধিক প্রজন্ম ধরে বিকশিত হচ্ছে। এটি এক্স প্রজন্ম (বয়স ৪১ থেকে ৫৫) থেকে শুরু করে বেবি বুমারস (৫৫ থেকে ৭৫ বছর) প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে। একাকিত্বের হিসাবে যুক্তরাজ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় ইউরোপের মধ্যবয়সীরাও খুব পিছিয়ে নেই। তবে নর্ডিক ইউরোপের মধ্যবয়সীরা তুলনামূলকভাবে কম একাকিত্বে ভোগেন।

গবেষকেরা ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫৩ হাজার মধ্যবয়সী মানুষের মধ্যে জরিপ চালান। এ সময় তাঁরা ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেতে প্রতি দুই বছর অন্তর একাকিত্ব বিষয়ে পরিবর্তনের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এর মধ্যে তাঁরা ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তথাকথিত নীরব প্রজন্ম, ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালে জন্ম নেওয়া বেবি বুমারস প্রজন্ম ও ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া জেনারেশন এক্সের মানুষ রয়েছে।

গবেষকেরা বলেন, গবেষণার কাজে মধ্যবয়সীদের বেছে নেওয়ার নানা কারণ রয়েছে। কারণ, তাঁরাই সমাজের মেরুদণ্ড ও মূল কর্মশক্তি। কিন্তু এখন তাঁরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক মা–বাবার প্রতি খেয়াল রাখা ও সন্তানদের দেখাশোনার মতো দায়িত্ব পালনের চাহিদা বেড়ে যাওয়া। নব্বইয়ের দশকের মধ্যবয়সীদের তুলনায় ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দার সময় থেকেই মধ্যবয়সীদের মধ্যে দুর্বল মানসিক ও স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।

ইউরোপের কয়েকটি দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবয়সীদের মধ্যে এখন বেশি বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং অক্ষমতার উচ্চ হার দেখা যায়।